ট্রান্সশিপমেন্টের দুশ্চিন্তা কাটাতে সিলেট থেকেই কার্গো ফ্লাইট

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
ট্রান্সশিপমেন্টের দুশ্চিন্তা কাটাতে সিলেট থেকেই কার্গো ফ্লাইট

ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বাতিলে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের মাঝেই বিকল্প বেছে নেওয়া খবর এলো। ত্বড়িৎ পদক্ষেপের অংশ হিসাবে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৭ এপ্রিল কার্গো ফ্লাইট চালুর খবর জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ জন্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের নির্দেশনা স্থগিতের চেষ্টা বা পাল্টা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে দেশের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকেই নজর দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সিলেটের পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকেও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, পণ্য রপ্তানিতে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা ও পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে নিরাপত্তাবিষয়ক সব কিছু প্রস্তুত করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৭ এপ্রিল প্রথম কার্গো ফ্লাইট উড়াল দেবে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমদ জানান, সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রামের বেশ কিছু পণ্যের আদান-প্রদান হয়। খাতুনগঞ্জে সিলেটের অনেক পণ্য আসে। যদি সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু হয়, তাহলে দুই বিভাগের ব্যবসায়ীদের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে।

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, ‘ভারত থেকে রপ্তানি করলে পরিবহন ব্যয় কম লাগত। গত ১৫ মাসে ৪৬ কোটি ডলারের পণ্য ভারতের বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে রপ্তানি হয়েছে। এর ৫০ শতাংশ তৈরি পোশাক। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করলে খরচ প্রায় দ্বিগুণ। এ বিষয়ে সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। এখন সিলেট বিমানবন্দর দিয়ে যদি রপ্তানি সহজ করা হয়, তাহলে একই পরিমাণ পণ্য সিলেট দিয়ে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।’

বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ক্যাটেগরি ১-এ উন্নীত হয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে এ ঘোষণা দেয়। এ দুটি বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো ফ্লাইট চালু হলে একদিকে ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে বাড়তি অর্থ খরচের হাত থেকে রক্ষা পাবেন ব্যবসায়ীরা।

বিআরইউ