বিশ্ব ব্যাংক

চলতি অর্থবছরে চরম দারিদ্র্য বাড়তে পারে

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
চলতি অর্থবছরে চরম দারিদ্র্য বাড়তে পারে

চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে ৯ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘ম্যাক্রো পভার্টি আউটলুক’ প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, মূল্যস্ফীতির চাপ, কর্মসংস্থানের সংকট ও আয় হ্রাসের ফলে প্রায় ৪০ লাখ নতুন মানুষ চরম দারিদ্র্যের কাতারে পড়তে পারেন।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বছরের প্রথম ছয় মাসে চার শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। একই সময় স্বল্প দক্ষ শ্রমিকদের মজুরি দুই শতাংশ এবং উচ্চ দক্ষদের মজুরি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ কমেছে।

এতে দেশের নিম্নআয়ের পরিবারগুলো জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে সঞ্চয় ভাঙতে বাধ্য হচ্ছে। সংস্থাটি জানায়, পাঁচটি পরিবারের মধ্যে তিনটি এখন সঞ্চয় ভেঙে চলতে বাধ্য হচ্ছে। যদিও প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে আয়বৈষম্য বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে জিনি সহগ শূন্য দশমিক পাঁচ পয়েন্ট বেড়ে বৈষম্য আরও তীব্র হতে পারে। কয়েক বছর ধরেই এই প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে আসতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে। আগে জানুয়ারিতে এই হার ৪ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে জানানো হয়েছিল।
আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও তা হবে মাত্র ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)ও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছে। আইএমএফ বলেছে, প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, আর এডিবির মতে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জিডিপির ৪ দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে। সরকারি ব্যয় সংকোচন হলেও ভর্তুকি ও সুদ পরিশোধের চাপ বেড়ে যাবে, যার ফলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।

প্রতিবেদনে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যনীতির অনিশ্চয়তার কথাও তুলে ধরা হয়। এতে বিনিয়োগ ও রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে সামান্য স্বস্তির জায়গা হলো, দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্ট ঘাটতি কিছুটা কমেছে এবং রিজার্ভ কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে।

বিআরইউ