শিক্ষক ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণ, সকল বিভাগের ফলাফল একই তারিখে প্রকাশ ও শর্তসাপেক্ষে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ সহ ৪ দফা দাবি উল্লেখ করেন তারা।
এ বিষয়ে রোববার (১৪ আগস্ট) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর স্মারকলিপি দিবেন তারা।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি সকল বিষয়ের পরীক্ষা ভলো দিয়েছি, ভালো লিখেছি এবং এই বিষয়ে আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি। কিন্তু কিছু শিক্ষকদের খামখেয়ালিপনার স্বীকার হয়ে আমার এক বিষয়ে ফলাফল খারাপ হয়েছে। আমি খুবই হতাশ, এটা কোনোভাবেই হতে পারেনা।
কারণ আমি ভালো পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের কলেজ থেকে ৬০ জনের অধিক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মাত্র ৪ জন ছাত্রের সব বিষয়ে পাস এসেছে। বাকি সবাইকে ফেল করিয়ে দেয়া হয়েছে।
ঢাবির অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে আমরা শোষিত হয়েছি। ৪ বছরের কোর্স শেষ করতে করতে আমাদের চাকরির বয়স পার হয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে আমার সকল সহপাঠী ও আমি মানসিক ভাবে চাপে আছি।
বাঙলা কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শাব্বির আহমেদ পলাশ বলেন, আমি ৪০ মার্কস উত্তর করেও পারমানবিক রসায়ন ( বিষয় কোড- ২৪২৮০৭) পাশ করেছি অথচ ৭০ মার্কস সঠিক উত্তর দিয়েও রাসায়নিক বর্ণালিমিতিতে (বিষয় কোড-২৪২৭১৫) পাস করতে পারিনি। যদি আমাকে মার্কস কমিয়েও দেওয়া হয় তবুও ৫০ এর কম দিতেই পারবে না। তাই এই বিষয়ে ফেল কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো-
১. নিজ কলেজের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ৭২ ঘন্টার মধ্যে খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। এর পরেও যদি কোন শিক্ষার্থীর অভিযোগ থাকে তবে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের সামনে খাতা হাজির করতে হবে।
২. পরীক্ষা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিতে হবে এবং নভেম্বরের মধ্যে সাত কলেজের সকল বিভাগের ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। কোনো কিস্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না।
৩. গণহারে ফেলের পিছনে দায়ি শিক্ষকরা যাতে ভবিষ্যতে খাতা মূল্যায়নের সুযোগ না পায়; সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে না পারায় অর্থাৎ বিলম্বে ফলাফল প্রকাশ করায় ২ বিষয় পর্যন্ত ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় মাস্টার্সে এ ভর্তি নিতে হবে।
এআই