তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন করতে পাঠ্যক্রম ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি।
শিক্ষার্থীদের ওপর জোরজবরদস্তি, পরীক্ষার ভীতি ও অতিরিক্ত বইয়ের বোঝায় জর্জরিত বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে আনন্দময় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে ‘শিক্ষাব্যবস্থায় সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ’ বিষয়ক ওয়েবিনারে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা জানান। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি, সেটিরও প্রায় ১২ বছর হয়েছে। নতুন কিছু জিনিস এসেছে। কিছু জিনিস সময়পোযোগী করার প্রয়োজনীয়তা লক্ষ্য করা গেছে। অনেককিছু অবাস্তবায়িত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সাম্প্রদায়িকীকরণ ঘটেছে। রাজনীতিতে যেমন সাম্প্রদায়িকীকরণ, দুর্বৃত্তায়নের চেষ্টা হয়েছে, শিক্ষায়ও তা-ই। সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে শিক্ষাব্যবস্থায় যে পরিবর্তন প্রয়োজন, আমরা সে চেষ্টাই করছি।
কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১০ সালে যে শিক্ষানীতি নেওয়া হয়েছিল তা শিক্ষা কমিশনের ধারাবাহিকতাতেই হয়েছে।
পাঠ্যসূচি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে দিপু মনি বলেন, নতুন যে বইগুলো হচ্ছে সেগুলোর বিষয়ে দীর্ঘসময় নিয়ে আলোচনা করে আমরা কাজ করছি।
ওয়েবিনারে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, শিক্ষা পদ্ধতির নতুন কারিকুলামে মুক্তিযুদ্ধ, নৈতিকতা, স্বাধীনতার চেতনা ও আদর্শের ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছি। মাদারাসা শিক্ষার জন্য আমরা যে ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করেছি তাতে মাদরাসা শিক্ষকদের কোনো আপত্তি নেই।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রমুখ।
আমারসংবাদ/টিএইচ