ফ্যান শূন্য তিতুমীর কলেজর ডাইনিং

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২২, ০৪:১২ পিএম
ফ্যান শূন্য তিতুমীর কলেজর ডাইনিং

ভর দুপুর, রোদের তীব্রতায় গা ঘেমে ছম ছম করছে। ক্লাস শেষ করেই দৌড়ে আসতে হলো আক্কাসুর রহমান আখি ছাত্রাবাসে। খাবারের তুলনায় চাহিদা বেশি। একটু দেড়ি হলেই বঞ্চিত হতে হয় খাবার থেকে। কিন্তু বিপদ হলো খাবারের পরিবেশ। গরম খাবার আর চৈত্রের তাপদাহ অতিষ্ট করে তুলেছে। নষ্ট হয়ে গেছে খাওয়ার রুচিও। সরকারি কলেজের আবাসিক হলের ডাইনিং রুমে নেই বৈদ্যুতিক পাখা, এই পরিবেশে খাওয়া যায়?
ক্ষোভ আর বিষণ্ণতা নিয়ে গনমাধ্যমে এভাবে অভিযোগ তুলে কথা বলছেন তিতুমীর কলেজের আক্কাসুর রহমান আখি ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী সিয়াম (ছদ্মনাম)।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ডাইনিংয়ে আগে ফ্যান ছিলো, তখন আমরা ডাইনিংয়ে বসে পড়তে পারতাম, বিকেল হলে টিভিতে খেলা দেখতাম, এখন পড়াশোনা খেলা দেখা দূরের কথা দুবেলা খাবার খেতেই দম যায়! এমনিই যেই তাপমাত্রা আবার পুরো ডাইনিং রুমে নেই একটিও ফ্যান। এই প্রচন্ড গরমে ক্লাশ শেষ করে এসে খাবার খেতে খুব সমস্যা হয়।’

একই সমস্যার কথা উল্লেখ করে ছাত্রাবাসের ডাইনিংয়ের দায়িত্বে থাকা জর্জ মিয়া বলেন, ‘এহন ওরা খাইতেই পারে না, ছাত্রগো অনেক সমস্যা হচ্ছে এই গরমের মধ্যে মনে করেন ভাত গরম, তরকারি গরম, এর মধ্যে উপরে ফ্যান নাই।’

‘করুনার পরে স্যার ১২টা ফ্যান দিছে সেগুলো লাগানোই হইছে। তবে এখন তার কোনো ফ্যানই এখানে নাই। পরবর্তীতে ফ্যান চাইবো তার সাহস পায় না, চাইতে পারে নাহ। কইলেই তো স্যার কইবো ফ্যান দিছি সেগুলো কই।’

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্রাবাসের দায়িত্বরত হোস্টেল সুপার ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অধ্যাপক কাজী আল নূর, বিষয়টি সম্পর্কে  অবগত নয় জানিয়ে বলেন, ‘ফ্যানগুলো আমি লাগিয়ে দিয়েছিলাম, এর পরে আর এখন নাই। আমি দেখি নাই। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা।’

নতুন ফ্যান লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি ১০০ ফ্যানের জন্য আবেদন করে রাখছি, তা এখনো আসেনি, আসলে লাগিয়ে দেব।’

বিষয়টি নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, যে হলের খাবারের মান ভালো না, ডাইনিংয়ে পাখা নেই, চেয়ার টেবিল সংকট, এসব সমস্যার বিষয়ে আমরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন স্যারকে জানিয়েছি, উনি এগুলো নিয়ে ভাবছেন বলে জানিয়েছেন।’
 

আমারসংবাদ/আরইউ