শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রের অবস্থান কর্মসূচি

ঢাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২২, ০১:৫৩ পিএম
শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রের অবস্থান কর্মসূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশন সহ ৮ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে সংযুক্ত ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্র হাসনাত আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল এগারোটা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সোনালী ব্যাংক এর গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তাকে অবস্থান করতে দেখা যায়। অবস্থান শেষে দুপুর সাড়ে বারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ আখতারুজ্জামান এর হাতে ৮ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করবেন জানান তিনি।

৮ দফা দাবি গুলো হলো-
১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি নিরসনের জন্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে "অভিযোগ সেল" গঠন করতে হবে।যেখানে সেবাগ্রহীতারা সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদির ভিত্তিতে অভিযোগ জানাতে পারেন। ২. প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজড করতে হবে। ৩. নিরাপত্তা ও হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে অফিস সমূহের অভ্যন্তরে প্রতিটি রুমে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিস সমূহের প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করতে হবে। ডিসপ্লেতে অফিস সমূহের নাম,কক্ষ নম্বর ও সেখানে প্রদত্ত সেবার বিবরণী, কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নাম ও ছবি সহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি প্রদর্শন করতে হবে। ৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনেরও সংস্কার করতে হবে। ৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারিত্ব, মানুষিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতমূলক করতে হবে।প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মানসিক সেবা প্রদানকারী বিভাগ ও সেন্টারসমূহের শরণাপন্ন হতে হবে। ৭. অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত থাকতে পারবে না। সে নিরিখে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থিত কর্মচারী ইউনিয়ন অফিস বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ক্লাবসমূহে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে হবে। ৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচারণা পরিবেশবান্ধব করতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশ বজায় রাখতে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য হানিকর ও পরিবেশ বিপর্যয়কারী অপ্রয়োজনীয় পোস্টার লিফলেট ও ব্যানার ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

৮ দফা দাবির বিষয়ে আন্দোলনকারী মোঃ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা সবার জন্য সমান অধিকার নিয়ে কাজ যাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার চেয়ে ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করা কঠিন। ফাইল হারিয়ে যাওয়ার কারণে অতীতে বহু শিক্ষার্থী যথাসময়ে পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি। ডিজিটাল বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  এখনো অ্যানলগ রয়ে গেছে। আগামী  ১০ কর্মদিবসের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলো। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে পরবর্তীতে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করব। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী তার সাথে সংহতি প্রকাশ করেন।

কেএস