যুক্তরাজ্যের ‘ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ১২:০৪ এএম
যুক্তরাজ্যের ‘ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্নের ক্যাম্পাস যুক্তরাজ্যের বেঙ্গর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বেঙ্গর ‘ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন  বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জুনেদ আহমদ। আগামী ২০অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ওয়েলসের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম কোনো বাংলাদেশী হিসেবে এই পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন জুনেদ।

সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান জন্ম ও বেড়ে ওঠা দেশেই, লেখাপড়ার প্রথম ধাপ পার করেছেন স্কলার্সহোম কলেজ থেকে। পরবর্তিতে লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানি স্টাডিজে লেখাপড়া করেছেন। এরপরে আবারো উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছেন ইউকের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় বেঙ্গর ইউনিভার্সিটিতে। পড়ার বিষয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ল এন্ড হিউম্যান রাইটস ল্।

ইউনিয়নের প্রধান কাজের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলা স্টুডেন্ট ইউনিয়নের আসল কাজ। এর পাশাপাশি সেমিনার, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক কর্মশালা আয়োজনের পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখে এই সংগঠন। নির্বাচনে জুনেদ‍‍`র অন্যতম প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে আছে ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার নিয়ে কথা বলা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও চাকরির সমন্বয় করতে ‘ফ্রি আওয়ার ফ্রাইডে ’ বা শুক্রবারকে ছুটির দিন ঘোষণা করতে কাজ করা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরও যত্নবান করা।

কিসের ভিত্তিতে এত বড় পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে, জুনেদ বলেন আমি দেশে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাথে কাজ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্টুডেন্ট ইউনিয়নকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে আমিই সেরা। আমার চেয়ে ভালো কোনো প্রার্থী থাকলে আমি প্রার্থীই হতাম না।’ এমন সাহসী বক্তব্যের রহস্য কী? জুনেদের জবাব, শিক্ষাই আমার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করার প্রধান চাবিকাঠি, এবং এর সাথে সাথে আমার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাই আমার এমন সাহসের ভিত গড়ে দিয়েছে। নিজের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্যই এই লড়াইয়ে নেমেছি। যদি আমার এই সাহসী অর্জন কারও জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে, সেটা বাড়তি পাওয়া।

তরুণদের উদ্দেশে জুনেদ বলেন, ‘শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংগঠনিক ও দাতব্যকাজে যুক্ত হওয়া জরুরি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

ইএফ