সারাদেশের ক্যাম্পাস পর্যায়ের সংবাদকর্মীদের অংশগ্রহণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ক্যাম্পাস জার্নালিজম ফেস্ট-২০২২-এর প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, সাংবাদিকদের বন্ধু না থাকলেও শত্রুর অভাব নাই। কোন নিউজ পক্ষে গেলে সাংবাদিক ভালো বিপক্ষে গেলে খারাপ।
এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকরা আছেন বলে আমরা সমাজে এখনো সচেতন ও ভালোভাবে থাকতে পারছি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে এখন সবাই অনেক বেশি সচেতন। না হলে যেকোন সময় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার সরকার অংকুর, সাধারণ সম্পাদক সিফাত শাহরিয়ার প্রিয়ান সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারী ২ শতাধিক সংবাদকর্মীরা।
এরপর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের তৃতীয় তলায় শুরু হয় আলোচনা সভা। সভায় প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সিফাত শাহরিয়ার প্রিয়ানের সঞ্চালনায় সভাপতি নিহার সরকার অংকুরের সভাপতিত্ব করেন।
সভায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, সংবাদপত্র আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। তবে এখন শুধু সংবাদপত্র নয় বরং মিডিয়া হয়ে গেছে। এখানে ইলেকট্রনিক মাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যম এমনকি ওটিটি নামে একটি মাধ্যমও যুক্ত হয়ে গেছে। যার মধ্যে দিয়ে এখন সংবাদ বা তথ্যের আদান-প্রদান দেখতে পাই। তাই আজকে যাদের নিয়ে এই সম্মেলন-আয়োজনটি হয়তো ছোট কিন্তু এর ব্যাপ্তি অনেক বেশি। এই ক্যাম্পাসে আজ দূর দূরান্ত থেকে নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা এসেছে।এটা অত্যন্ত গর্বের। এই গর্বকে আমরা লালন করি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসক্লাবের প্রকাশনা ‘কলম’ এর বিশেষ সংখ্যা (৩য়) মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এছাড়াও ‘মুক্তিযুদ্ধা সম্মাননা’ প্রদান করা হয় ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ১১ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকারকে। আয়োজক সংগঠনের ৪ উপদেষ্টাকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ এবং ‘ফিচার ও উন্নয়ন সাংবাদিকতা’ বিভাগে মনোনীত সেরা প্রতিবেদক- ২০২২ প্রদান করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা ও রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, উপদেষ্টা ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, উপদেষ্টা ও পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) তপন কুমার সরকার, উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদারসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পারি দেব রে’ শিরোনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন এখন টিভির সম্পাদকীয় প্রধান তুষার আব্দুল্লাহ, ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার।
এআই