তথ্য অধিকার আইন অনুসারে তথ্যের অবাধ প্রবাহ যেমন নিশ্চিত করতে হবে ঠিক তেমনি করে তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণও করতে হবে। নিরাপত্তার সাথে তথ্য সংরক্ষণ ও প্রদান করা করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার সাথে তথ্য সংরক্ষণ ও প্রদান করাও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দায়িত্ব। কারো অবহেলায় তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন কিংবা পাচার হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিও তথ্য অধিকার আইনে দায়ী থাকবেন। তথ্য জানার অধিকার জনগণের আছে। আবার তথ্যপ্রধানের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিও আছেন। যে কেউ যেকোন তথ্য প্রদান করতে পারেন না। যথাযথ নিয়ম ও রীতি মান্য করে তথ্য প্রবাহের অবাধ গতি সৃজন করা আমাদের লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত ‘তথ্য অধিকার আইন ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ সেলের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণটি আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য বলেন, আমাদের প্রত্যেককে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানতে হবে। এই আইনের মধ্যদিয়ে তথ্যপ্রাপ্তি নাগরিকের অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাব দিহিতা নিশ্চিতের জন্য এই আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সুশাসন, অবাধ গণতন্ত্র নিশ্চিতেও এই আইন সহায়ক।
তথ্যকে শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই তথ্যপ্রাপ্তির জন্য মানুষ বহু আগে থেকেই গোয়েন্দাবৃত্তিতে নিয়োজিত ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এক দেশ অন্য দেশের বিপক্ষে কৌশল নির্ধারণ করা হয়। তাই কতটুকু তথ্য আমরা প্রকাশ করবো কতটুকু গোপন রাখবো সেটি জানাও জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পরিচালক (জনসংযোগ) এস.এম. হাফিজুর রহমান। সম্পদ ব্যক্তি হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন ময়মনসিংহ জেলা তথ্য কর্মকর্তা শেখ শহীদুল ইসলাম নওশাদ ও অতিরিক্ত পরিচালক (অডিট) রাধেশ্যাম।
এসএম