২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১ জানুয়ারি) থেকে সারাদেশে বিনামূল্যে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের নতুন বই।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট, কাগজের উচ্চমূল্য, পাল্প আমদানি বন্ধ থাকা, দেরিতে দরপত্র আহ্বানসহ নানা প্রতিকূলতা জয় করে জানুয়ারির এক তারিখে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন বই। নতুন বছরের প্রথম দিন সারাদেশে হবে অনাড়ম্বর বই উৎসব।
জানুয়ারির এক তারিখে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরে ৮০ শতাংশ বই পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। মাধ্যমিকের প্রায় ৭৫ শতাংশ বই পৌঁছেও গেছে দেশের সব জেলা উপজেলায়। প্রাথমিকে পৌঁছেছে ৬৩ শতাংশ।
এনসিটিবির দাবি, ১ জানুয়ারির আগে হাতে যে দুইদিন রয়েছে তাতে সব জেলায় ৮০ শতাংশ বই পৌঁছে দেওয়া হবে। যদিও বই মুদ্রণকারীরা বলছেন এই হার কিছুটা কমও হতে পারে। কিন্তু জানুয়ারি মাসজুড়েই চলবে বই বিতরণ।
উদ্ভূত সংকটকে পুঁজি করে অনেক ব্যাবসায়ী নিম্নমানের বই ছাপিয়েছেন বলে অভিযোগও বিস্তর। এ নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হতে পারে অনেক মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান। দেশে ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিয়ে আসছে সরকার।
করোনার কারণে বিগত দুই বছর বই উৎসবে ভাটা পড়লেও এবার আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১ জানুয়ারিতে দেশব্যাপী ধুমধামের মধ্য দিয়ে পাঠ্যবই উৎসব হবে। সেদিন শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বই তুলে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের হাতে।
এআই