খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শুন্য আসনগুলো মেধাতালিকা অনুসারে পুরণে রিপোর্টিং এর জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কোটাসহ মোট শূন্য আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য খুবিতে সশরীরে রিপোর্টিং ১৫ থেকে ১৬ জানুয়ারি। শুন্য আসনে রিপোর্টকৃত শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ১৭ জানুয়ারি। মেধাতালিকা থেকে শূন্য আসনে চূড়ান্ত ভর্তি ১৮-১৯ জানুয়ারি।
এদিকে গুচ্ছ অন্তর্ভুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ১ম হতে ৭ম মেধাতালিকা থেকে নানাবিধ কারণে যারা ভর্তি হতে পারেনি গণ-আবেদনে তাদের ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে খুবিতে এমন সুযোগ রাখা হয়নি। এদিকে খুবিতে ভর্তিচ্ছু অনেক শিক্ষার্থী গণ-আবেদনের সুযোগ রাখতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন।
জানা যায়, অনেক শিক্ষার্থীর প্রবল ইচ্ছা ছিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু ৬ষ্ঠ মেধাতালিকা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ করার ফলে ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও অনেক দূর-দূরান্তের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হয় অনেক শিক্ষার্থী। এতে করে অনেকেই নানাবিধ কারণে ৬ষ্ঠ মেধাতালিকা থেকে ভর্তি হয়নি। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী শিক্ষার্থী এবং তাদের অবিভাবকের দূরদূরান্তের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে অপারগতার জন্য এমন সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
খুবিতে ভর্তি-ইচ্ছুক আনিকা তাহসিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি শুধু মাত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো বলেই সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু ৬ষ্ঠ মেরিটে জগন্নাথে ভর্তির সুযোগ আসে। আবার এদিকে মাইগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুবিতে পড়া হতো না তাই ভর্তি হইনি। এখন আমার একটা বছর পুরোটা শেষ তার সাথে এতোদিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে স্বপ্ন দেখা সব শেষ হয়ে গিয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যদি বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিতো তাহলে আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের অনেক উপকার হতো।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, কিছু শিক্ষার্থী আছে সেকেন্ড টাইমার। ৬ষ্ঠ মেধাতালিকার পর গুচ্ছের বিভিন্ন নোটিশ তাদের বুঝতে সমস্যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আশাভঙ্গ হয় তাদের। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থীকে। তবে নানাবিধ কারণে যারা ভর্তি হতে পারেনি তাদের কথা বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত গণ-আবেদনে তাদের সেই নিভে যাওয়া আশা জ্বলে উঠেছে।
শাহ আলম নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, গুচ্ছের বিভিন্ন ধরনের নোটিশ বুঝতে না পেরে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার স্বপ্নই শেষ হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমার আবার সুযোগ দেওয়ার জন্য তাদের কি বলে ধন্যবাদ দেবো ভাষা খুজে পাচ্ছি না। এছাড়া আমি মনে করি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সুযোগ দেওয়া উচিত।
শুধু আনিকা বা শাহ আলম নয়, এরকম বেশকিছু শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ-আবেদনের এমন সুযোগ রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করার অনুরোধ জানান শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে খুবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, এ বিষয়ে গুচ্ছের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো নির্দেশনা ছিলো না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সকল ক্ষেত্রেই স্বতন্ত্র, পূর্বের ভর্তি অভিজ্ঞতার আলোকে কতজন শিক্ষার্থীকে রিপোর্টিং এর সুযোগ দিলে আসন পূরণ হবে তা অনুমান করে বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব নিয়মে শিক্ষার্থীদের রিপোর্টিং এর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের কথা বিবেচনা করেই ২২ তারিখ থেকে ক্লাস শুরু করতে চাচ্ছি। তবে নানাবিধ সমস্যায় পরা শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি।
কেএস