সম্প্রতি সেসিপ প্রকল্পে সরবরাহকৃত আইসিটি বিষয়ক শিক্ষা উপকরণ মান নিয়ে সমালোচনা বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহম্মেদ আমার সংবাদকে বলেন, আমার তো ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষা উপকরণগুলো খুলে দেখার সুযোগ নেই।
একারনে আমরা গনমাধ্যমে অভিযোগ সম্পর্কে জানার পরেই দেশের সকল জেলা শিক্ষা অফিসারদের কে নির্দেশ দিয়েছি উপরণ গুলোর মান যাচাইয়ে তদন্ত করার জন্য। কাজ সম্পন্ন করে তারা আমাকে একটি রিপোর্ট দেয়। কিছু ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা বলেছেন তারা, কিছু জিনিস তারা পায়নি ও মানের ঘাটতি আছে বলে জানিয়েছে। আমরা সেগুলোর বিল আটকে দিয়েছি। কারন কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নূন্যতম অনিয়ম করলে বিল দেয়ার প্রশ্নই ওঠেনা।
সরবরাহকৃত শিক্ষা উপকরণগুলো আমার আগের মহাপরিচালকের সময়ে ক্রয় আদেশ দেয়া হয়েছে ও সরবারহ করা হয়েছে। তারপর শিক্ষা উপকণের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মাউশির প্রকিউরমেন্ট বিষয়ে এক্সপার্ট ৩ জনকে দিয়ে ২০২২ সালে ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে একটি টেকনিক্যাল তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি যেভাবে রিপোর্ট দিবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা কে টেন্ডার দেয়া হয়েছিল আগের ডিজির সময়, মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে সেসময়, এগুলো বুঝে নেয়া হয়েছে সেসময়। বছর দুয়েক আগে সম্ভবত এসবের ক্রয় আদেশ দেয়া হয়েছিল।
প্রত্যেকটা জেলায় তদন্ত করিয়েছি। জেলা পর্যায় থেকে আপত্তিগুলো এসেছে সেগুলোর বিষয়ে প্রকিরউমেন্ট বিভাগের ৩ জন বিশেষজ্ঞকে দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দিবে সে অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে ছাড় দেয়ার বিন্দু পরিমান সুযোগ নেই। যদি তারা কার্যাদেশ অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যা দেয়ার কথা সেসব উপকরণ সরবরাহ না করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যেকটা জেলায় তদন্ত করিয়েছি।
এবি