নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে কেন্দ্রীয় উপাসনালয়ে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে।এসময় সনাতনী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সমাগমে উপাসনা হলটি কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উপলক্ষে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে (নোবিপ্রবি) বিদ্যার দেবীর পূজার আয়োজন করা হয়। পূজা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এর লেকচারার সঞ্জয় কুমার আচার্য।
পূজার সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিব্যদ্যুতি সরকার। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, রেজিস্ট্রার (অ.দা.) মো: জসীম উদ্দিন,অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন,পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব বিপ্লব মল্লিক সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক মো. দিদার-উল-আলম বলেন, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে এবং ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে শুভেচ্ছা। সরস্বতী পূজার আয়োজনের সফলতা কামনা করছি।
পূজার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা সৌরভ দাস বলেন, সনাতনধর্মে মা সরস্বতী শিক্ষা-সংস্কৃতির দেবী। প্রতিবছরের ন্যায় এইবারও নোবিপ্রবি`তে মায়ের পূজা অর্চনা করা হয়।খুব সুশৃঙ্খল আর আনন্দমুখর পরিবেশে পূজার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরে আমরা সনাতনীরা খুবই আনন্দিত।এটি শুধু একটা পূজোই নয়,শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলাও। পুরো একটা বছরের অপেক্ষার অবসান।জ্ঞান- বিজ্ঞান,উন্নত মন-মানসিকতায় এগিয়ে যাক মানবসভ্যতা আজকের দিনে এই প্রার্থনা করছি।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাজভি পাল সাগর বলেন, ভার্সিটিতে উঠে এই প্রথম মায়ের পূজা করছি। গত কয়েকদিন যাবত অনেক কর্ম ব্যস্ততায় ছিলাম। মায়ের মুখ দেখে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে। বিদ্যার দেবী আমাদের সকলকে বিদ্যা বুদ্ধি প্রদান করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা, সকলকে জানাই পূজার শুভেচ্ছা।
পূজা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণ সাজানো হয় আলপনা, বাহারী রকমের বাতি ও ফুলের সংমিশ্রনে।পূজা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং ভক্তর্থীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
আরএস