ঢাবির হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে ছাত্রীদের অবস্থান

ঢাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ১১:৫০ পিএম
ঢাবির হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে ছাত্রীদের অবস্থান

প্রভোস্টের পদত্যাগ চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টায় এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (১০ টা ৪০) তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলমান ছিল।

শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক শাহীন খানসহ আরও অনেকে। প্রক্টরের সাথে কথা বলার পরে ছাত্রীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের বাসভবনের ভিতরে প্রবেশ করেন।

আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে মেয়েদের চারটি হল সাজানো হলেও কুয়েত মৈত্রী হল সাজানো হয়নি। ক্যান্টিনের খাবারের দাম বেশি সেই সাথে মান খারাপ। গত ২৪ জানুয়ারি ওই হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় ওই হলের শিক্ষার্থীদের নিম্নমানের টি-শার্ট, খাবার ও জুতা দেয়া হয়। এ ছাড়া সম্প্রতি ওই হলে আগুন লাগলে প্রভোস্ট উদাসীন ছিলেন বলে অভিযোগ তাদের।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, হল প্রাধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার দাবি শুনেন না। হলে সিট সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থী সময়মতো সিট পান না। অনেকের কাছ থেকে বার্ষিক ৪ হাজার টাকা নিয়ে সিট দেয়া হয়। প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নিয়ে কেউ ফেসবুকে পোস্ট করলে তাকে একাকী ডেকে নিয়ে শাসানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী। আমার পরে আরও দুই ব্যাচ রয়েছে। তাদের অনেকেই সিট পেয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো গণরুমে পড়ে আছি। তার (প্রাধ্যক্ষ) কাছে কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তাতে কর্ণপাত করেন না উল্টো আমাদের শাসানো হয়।ক্যান্টিনের খাবারের মান খুব বাজে, খাওয়া যায় না। এসব বললেই আমরা তার চক্ষুশূলে পরিণত হয়ে যাই।

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুন নাহারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

কেএস