শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত পশ্চাৎপদ নারী সমাজকে রাষ্ট্রের বৃহত্তর অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে ১৯২৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগরীর পুরনো অভিজাত এলাকা র্যাঙ্কিন স্ট্রিটে নারী শিক্ষা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন স্বর্গীয় লীলাবতি রায় (নাগ)। সময়ের পালাক্রমে সেই নারী শিক্ষা মন্দিরই আজ ‘শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়’ নামে শিক্ষা আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে নারী সমাজে। রাজধানীর নামকরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটি এখন অন্যতম।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতি বিজড়িত এই প্রতিষ্ঠানের ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে ।
বিকালে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে কেক কাটার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এপর আয়োজন মনোজ্ঞ স্বাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসবেরও আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়েরই গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফায়েল আহম্মেদ ভুইয়া।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধান অতিথি রিয়াজ উদ্দিন স্মরণ করেন জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম ফজিলাতুন্নেছা, ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্যসহ ভাষা শহীদদেরও স্মরণ করেন তিনি। তিনি বিশেষ করে স্মরণ করেন এই প্রতিষ্ঠানেরই প্রতিষ্ঠাতা লীলা নাগকে। তিনি বলেন, লীলা নাগ নিজেকে সমাজের জন্য উৎসর্গ করেছেন। ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ বিবেচনা না করেই এই সমাজকে তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন। সমাজের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন। শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের ৯৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আজ আমরা লীলা নাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এই প্রতিষ্ঠানেরই সাবেক শিক্ষার্থী সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর লাভলী বেগম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রদ্যুৎ কুমার ভদ্র। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা। সাবেক শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও অনেকেই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এবি