পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার ড. কামরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবি ও '৬ দফা' দাবিতে অবস্থানরত কর্মকর্তা পরিষদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কয়েকদফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং রেজিস্ট্রারের অনুসারীদের মধ্যে বেলা ১১টায় কয়েকদফা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আচমকাই মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের গুটিকয়েক অনুসারী। এসময় তাদের ভিতর কয়েকদফা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল ও কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মজিবর রহমান মৃধা সহ আরও অনেকে হামলার শিকার হন বলে জানানো হয়।
একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, আন্দোলনরত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা জসীমউদ্দিন বাদল, শাহীন হোসেন, শামীম আহমেদ সহ আরও অনেকে অতর্কিত হামলা চালান। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তবে, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এতে হস্তক্ষেপ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে রেজিস্ট্রারের অনুসারীরা এ আন্দোলনকে ভিত্তিহীন বলে স্লোগান দিতে থাকে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মশারফ খন্দকার, শহিদুল ইসলাম সহ আরও অনেকে নেতৃত্ব দেন।
রেজিস্ট্রারের অনুসারীদের নেতৃত্বে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. কামরুল ইসলাম এই এলাকার সন্তান। তাকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে কিছু কর্মকর্তা এ অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, আমরা টানা ১১ দিনের মতো আমাদের নৈতিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি, আজ যে অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও কিছু দূর্নিতীপরায়ন কর্মকর্তার ইন্ধনেই ঘটেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন-উর-রশিদ সহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
কেএস