ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন শিক্ষার্থীকে চার ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম.আলী হাসান।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও শেখ হাসিনা হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার এবং তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পর্যালোচনা শেষ হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল ৫০০৯নং স্মারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ওই প্রতিবেদন জমা দেন।
তিনি আরও জানান, ছয় কর্ম দিবসেই কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে পাঠাবো। সুপ্রিম কোর্ট যা নির্দেশনা দেবেন, তা আমরা এক্সিকিউট করবো।
প্রসঙ্গত, গত (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ফুলপরী খাতুন নামের এক নবীন শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্টের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে রাতভর নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাবাসসুম’সহ নাম না জানা আরও অন্তত ৭-৮ জন দ্বারা র্যাগিংয়ের নামে চরমভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন।
এই নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট এবং শাখা ছাত্রলীগের মোট ৪টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তাদের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়।
কেএস