রাত পোহালেই বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারক ‘বাংলা নববর্ষ-১৪৩০’। এ দিনটি আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন করতে সারাদেশের ন্যায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপনের জন্য চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘বাংলা নববর্ষ-১৪৩০’ বরণ করবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের নিচে দেখা যায়, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপনের শুভ সূচনা হবে।
নববর্ষের প্রথম দিন সকালে বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজিত হবে। প্রতিবারের মতো এবারেও মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
লোকজ সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে সূর্যের পেপার ম্যাশ, ফোক হাতি ও ঘোড়ার স্ট্রাকচার, বাঘ ও পেঁচার মুখোশ, বিভিন্ন পোস্টার ও আমন্ত্রণ পত্র বানাচ্ছেন তারা।
‘বাংলা নববর্ষ-১৪৩০’ উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব শিক্ষক মাসুম হাওলাদার বলেন, বাংলার চিরাচরিত উৎসবগুলোর একটি পহেলা বৈশাখ। সকল ধর্ম-বর্ণ মিলে আমরা এ উৎসব পালন করা হয়। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েই সকলকে নিয়ে আমরা বর্ষবরণ বা মঙ্গল শোভাযাত্রা করি।
এআরএস