নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আজকে এই আয়োজনে ছাত্রলীগের কর্মীরা স্লোগান দিলেন। আমরা চাই- স্লোগাননির্ভর নয়, কর্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে। স্লোগান দিয়ে দেশ আগায় না, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে কর্মের মাধ্যমে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৪তম নজরুল জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাঁকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম যা চেয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি নজরুলের মনের যে সুপ্ত আকাংক্ষা, সেটিকে অনুভব করে সেই বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। নজরুল চর্চায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আরও বেশি এগিয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নন্দনকানন হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিকে পুর্নব্যক্ত করে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, "শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এই তিন মটো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যেই আমরা একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ণ করেছি, আন্তর্জাতিক কনফারেন্স করেছি, গবেষণা মেলা করেছি। একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় যাত্রী হতে চাই। সে অভিযাত্রার দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে চাই।
বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক সেমিনার। কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ভারতের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুমিতা চক্রবর্তী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. তৃপ্তি সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মনিরা পারভীন ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আসিফ ইকবাল আরিফ। আলোচনা করেন সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ। একই অনুষ্ঠানে ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ কর্তৃক নজরুল জীবন ও কর্মবিষয়ক গবেষণা প্রকল্পের বৃত্তি প্রদান করা হয়।
এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় জয়ন্তী উপলক্ষ্যে গাহি সাম্যের গান মঞ্চে সঙ্গীত, নৃত্য ও যাত্রাপালা পরিবেশন করা হবে।
এইচআর