দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করতে স্বতঃপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের।
ইউজিসি’র ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার ইউজিসিতে এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়।
ইউজিসি`র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিশনের সদস্য ও এপিএ’র আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আহ্বায়ক প্রফেসর আবু তাহের বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তথ্য না দেওয়ার সংস্কৃতি চালু রয়েছে। তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। প্রকাশযোগ্য সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবিধানে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ এ বিষয়টি যুক্ত করেছেন। কাজেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্রকে পরিচালনা করা ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ড. শামসুল আরেফিন বলেন, তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নাগরিকের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া, তিনি তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান প্রশিক্ষণ কোর্সটি পরিচালনা করেন। এ প্রশিক্ষণে কমিশনের ২০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
এইচআর