আমরা মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী। অনেকটা বাধ্য হয়েই আজ আমরা ইউজিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করতে এসেছি করেছি। আপনারা সকলেই জানেন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়ায় অবস্থিত।
২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি মানারাতের আশুলিয়ায় স্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রম শুরু হয়। এই ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন সরকারের মাননীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান।
এখানে উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল মানারাতের আশুলিয়া ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে ভূয়সী প্রশংসা করেন। মানারাতের সকল বিজ্ঞাপন এবং প্রচারনায় সব সময় আশুলিয়া ক্যাম্পাসকে স্থায়ী হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে অত্যন্ত দু:খজনক বিষয় হলো ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আমাদের স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম আমাদের সকল ক্লাস অনলাইনে করানো হবে। এর কারন হিসেবে জানানো হয়েছে আশুলিয়া ক্যাম্পাসকে গুলশানে স্থানান্তর করা হবে কিন্তু এর অফিসিয়াল কোন নোটিশ দেয়া হয়নি।
এ বিষয়টি আমাদেরকে অত্যন্ত ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা খুব উদ্বেগ উৎকন্ঠায় আছি। হঠাৎ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। এখন এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যাতে করে অনলাইনে ক্লাস করতে হবে। এখন অনলাইনে ক্লাস করার কোন ধরনের যৌক্তিকতা নেই। বিনা নোটিশে অনলাইনে ক্লাসের সিদ্ধান্ত সম্পুর্ন বেআইনি এবং প্রতারনার সামিল। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আশুলিয়া ক্যাম্পাসকে গুলশানে স্থানান্তর করবে কিন্তু অত্যন্ত আশংকার বিষয় হলো গুলশান ক্যাম্পাসের জায়গার উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান।
তাছাড়া যে শ্রেনীকক্ষ আছে তাতে গুলশানের ছাত্রদেরই সংকুলান হয় না সেখানে আশুলিয়ার ছাত্রদের নিয়ে হ্যারেজম্যান্ট করা ছাড়া আর কিছুই হবে না। শুনেছি বাড়ীভাড়া করে সেখানে ক্লাসের ব্যবস্থা করবে যা সম্পুর্ন বেআইনি। এই অবস্থায় গুলশানে ক্যাম্পাস স্থানান্তর মানেই হল সাবেক এবং বর্তমান হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কঠিন এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া।
আমাদের সকলের অভিভাবকরাও অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্যে আছেন। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের কয়েকটি দাবী তুলে ধরছি:
১. আমরা সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা আশুলিয়া ক্যাম্পাসকে স্থায়ী জেনে ভর্তি হয়েছি এ ক্যাম্পাসকেই স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে রাখতে হবে।
২. যদি বিশেষ কোন উন্নতির জন্য এবং ছাত্র ছাত্রীদের ভালোর জন্য ক্যাম্পাস স্থানান্তর করতেই হয় তাহলে নিজস্ব জায়গায় প্রয়োজনীয় স্থাপনা এবং ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরীর ব্যবস্থা করে তারপর স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
৩. মামলা চলমান এবং আদালত কর্তৃক স্থিতাবস্থা জারী থাকা অবস্থায় গুলশান ক্যাম্পাসে আশুলিয়ার ছাত্র ছাত্রীদের স্থানান্তর করা যাবে না।
৪. কোন ভাড়া বাড়ীতে আশুলিয়া ক্যাম্পাস স্থানান্তরের চিন্তা করে ছাত্র ছাত্রীদের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না।
৫. অনলাইনে কোন প্রকার ক্লাস এবং পরীক্ষা নেয়া যাবে না।
৬. অনতিবিলম্বে আশুলিয়া ক্যাম্পাসে অফলাইনে ক্লাস চালু করতে হবে। উপরোক্ত দাবীগুলো মেনে নিয়ে দ্রুত আমাদের ক্লাসে ফেরার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। এসব দাবি সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষে সম্মিলিত ক্লাব জানান।
এইচআর