মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়াতে বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১ টায় সম্মিলিত ক্লাবের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আশুলিয়ার খাগান বাজার প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে আসে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে সম্মিলিত ক্লাবের প্রতিনিধিরা বলেন, ‘ইউজিসি কর্তৃক স্বীকৃত মানারাতের স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়ায় রেখে বিতর্কিত গুলশান ক্যাম্পাসে যাওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।
যে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, ল্যাব, খেলার মাঠ নেই সে ক্যাম্পাসে যাওয়ার কোন মানে হতে পারে না। তারা বলেন, প্রায় ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতকে হুমকির সম্মুখীন করে স্থায়ী ক্যাম্পাস ছেড়ে বিতর্কিত (ভাড়াকৃত) গুলশান ক্যাম্পাসে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করতে চাপ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নয়।’
ক্লাব প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমাদের এই মানবন্ধন নিদিষ্ট কোন শিক্ষক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে নয়। আমদের এই মানববন্ধন ক্যাম্পাস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নয়, এমন ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে আগ্রহী নয় বলেও জানান তারা।’ সম্মিলিত ক্লাব প্রতিনিধিরা আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই আমরা কোন কালক্ষেপন চাই না।
সময় নষ্ট হোক এটি কোনভাবেই চাই না। আমরা চাই, আমদের যৌক্তিক দাবি গুলো কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়ে দ্রুত আমাদের ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।’ তারা আরও বলেন, ‘ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত ও যথাযথ ফ্যাসিলিটি রেখে ক্যাম্পাস যেখানে নেওয়া হবে, আমরা সেখানে যেতে রাজি।
ভাড়াকৃত কোন ক্যাম্পাসে যেতে আমরা কোনভাবেই ইচ্ছুক নয়। আমরা শিক্ষা বান্ধব একটি ক্যাম্পাস চাই।’ স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে ইউজিসিতে স্মারক লিপি দেয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার যে নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিয়েছে তা ঘৃণিত বলে উল্লেখ করে অবলিম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অবলিম্বে না মেনে নিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন সম্মিলিত ক্লাব প্রতিনিধিরা। এসময় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যলয়ের সাবেক ও বর্তমান মিলে প্রায় ২’শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রীতি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়াকে বাদ দিয়ে গুলশান ক্যাম্পাসকে স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গুলশানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসের নিজস্ব (২ একর) ভূমি ও শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত ফ্যাসেলিটির ব্যবস্থা না থাকায় গুলশান ক্যাম্পাসে যেতে ইচ্ছুক নয় শিক্ষার্থীরা।
এনিয়ে ফল সেমিস্টার রেজিস্ট্রেশন বর্জন, ক্লাস বর্জনসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যায়টির শিক্ষার্থীরা।
এইচআর