সিট বাণিজ্যের অভিযোগে জাবি ছাত্র ইউনিয়নকে কারণ দর্শানোর নোটিস

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম
সিট বাণিজ্যের অভিযোগে জাবি ছাত্র ইউনিয়নকে কারণ দর্শানোর নোটিস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে(জাবি) সিট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি।

রোববার (২৩ জুলাই) সংগঠনের ছাত্র ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক সাক্ষরিত একটি আভ্যন্তরীণ চিঠিতে তিন দিনের মধ্যে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ৮ জুন একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ‘এক হলেই ৪০টি আসন চাইলেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। যেখানে বলা হয়, ছাত্র ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে ৪০টি সিট নিয়ে দেনদরবার করেছেন।

বিষয়টি প্রকাশ্যে প্রক্টর নিজেও তুলে ধরেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে নিন্দার ঝড় ওঠে। যদিও পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশিত সংবাদে হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বামপন্থী গোষ্ঠীর গণরুমবিরোধী অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা বলে অভিহিত করে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদ।

এ ঘটনায় বিতর্কের জেরে এবার বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটিও। কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, বেশ কিছু দিন যাবৎ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট বানিজ্যের সাথে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা লক্ষ্য করছি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও সংগঠনের সাত দশকের লড়াইকে ক্ষুন্ন করার সামিল। এ বিষয়ের ভিত্তিতে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে যথোপযুক্ত কারণ ব্যাখা করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি ইমতিয়াজ অর্ণব বলেন, ‍‍`এই নোটিসটি আমি এখনো অফিসিয়ালি পাইনি৷ পেলে আমি অফিসিয়ালি এর জবাব দিব ও প্রেস রিলিজ দিব। তবে এ ধরণের সিট বাণিজ্যের সাথে ছাত্র ইউনিয়নের কোন সম্পর্ক নেই এবং এটি আমরা সমর্থন করি না। আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করে এটা করা হয়েছে। এ কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।‍‍`

তবে এ নোটিশকে ‍‍`অভ্যন্তরীণ‍‍` আখ্যা দিয়ে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দীপক শীল। তিনি বলেন, ‍‍`ছাত্র ইউনিয়ন সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিল। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিল। আর আমাদের কারো বিরুদ্ধে এমন প্রশ্ন ওঠাটা খুবই অস্বাভাবিক।

আমরা বিশ্বাস করি অভিযোগটি সত্য নয়। তবে যেহেতু একটি অভিযোগ উঠেছে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি এমন কোনো ঘটনার সঙ্গে ছাত্র ইউনিয়নের কেউ জড়িত হয়। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছি।‍‍`

এইচআর