শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি একটি সমন্বিত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে চলমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কো সম্মেলনে শুক্রবার তিনি এ আহবান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান শিক্ষার ক্ষেত্রগুলোকে একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করতে হবে যাতে আজীবন সাক্ষরতা অর্জন করতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
সাক্ষরতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি স্টেকহোল্ডার এবং সম্প্রদায় বিশেষ করে যুবকদের সম্পৃক্ত করার ধারণাটি চালু করার কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে সাক্ষরতা প্রসারে বাংলাদেশে গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান যে ২০২৩ সালের সাক্ষরতা মূল্যায়ন সমীক্ষায় সাক্ষরতার হার ২০১১ সালে ৫৩.৭০% থেকে ২০২৩ সালে ৭৩.৬৯%-এ উন্নীত হওয়ার আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি দর্শকদের জানান যে, এটি জিও, এনজিও এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার ভাল অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
দীপু মনি ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ এর পুরস্কার অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন। ‘বন্ধুত্ব’ নামে একটি বাংলাদেশী এনজিও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর মধ্যে সাক্ষরতা প্রচারে তাদের কাজের জন্য সাক্ষরতার জন্য ইউনেস্কো কনফুসিয়াস পুরস্কার পেয়েছে।
ইউনেস্কো সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ইউনেস্কোর শিক্ষা বিষয়ক এডিজি মিজ স্টেফানিয়া জিআননিনি এবং সেনেগাল, বেনিন এবং ইকুয়েডরের শিক্ষামন্ত্রীরাও অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি পরে ট্রান্সফর্মিং এডুকেশনের উচ্চ পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্ত বয়স্কদের সাক্ষরতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এসডিজি এর টার্গেট ৪.৬ অর্জন করা। যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার উপায়গুলো অন্বেষণ করার যত প্রোগ্রাম, বিষয়বস্তু এবং অনুশীলনগুলো কার্যকর করবে।