ঢাবির সব অফিসে থাকবে ‘সিটিজেন চার্টার’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম
ঢাবির সব অফিসে থাকবে ‘সিটিজেন চার্টার’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে এক বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছিল সিটিজেন চার্টার (নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সনদ)।  সিটিজেনস চার্টারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নাগরিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং অভ্যন্তরীণ সেবা বর্ণিত রয়েছে।

নাগরিক সেবাকে আরও গতিশীল করার জন্য এবার থেকে প্রতিটি বিভাগ, ইনস্টিটিউট, হল ও হোস্টেলে সিটিজেন চার্টার চালু করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা সহজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সেবার তথ্য পাবে এবং সেবার নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের ভোগান্তি লাঘব হবে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন অডিটোরিয়ামে ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আলোচকরা এই কথা জানান।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, আলোচক ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাজিব মাহমুদ সামিম পারভেজ। এতে সকল বিভাগ, ইনস্টিটিউট, হল, হোস্টেল ও সেন্টারের একজন করে প্রতিনিধি (অফিসার/কর্মচারী) উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের আবেদন খুজে পাওয়ার বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাজিব মাহমুদ সামিম পারভেজ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-নথি বাস্তবায়ন হলে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে কোথায় তার আবেদন রয়েছে।

তথ্যপ্রাপ্তি বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, হল হোস্টেল ও অফিসে তথ্য অধিকার আইন প্রেরণ করা হয়েছে। তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন সাংবাদিক তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদন করলে তা আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত হবেন।

তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিসের পরিচালক তথ্য অধিকার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার বলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঠিক সময়ে অফিসে আসতে হবে ও অফিস ত্যাগ করতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবার মান উন্নয়ন হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবার মান উন্নয়নের জন্য আমরা বদ্ধ পরিকর।

সকলকে সেবা গ্রহীতার সাথে সদাচরণ এবং দ্রুততার সহিত সেবা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

এআরএস