গাজীপুরে অন-ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স খোলার বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পত্রের জবাব দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পত্রে এই জবাব প্রদান করা হয়। ইউজিসির কর্তৃক প্রেরিত পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের যেসব ধারা বর্ণিত হয়েছে সেটিকে আংশিক ও খণ্ডিত বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনার্স খোলা বিষয়ে আইনের ধারা উল্লেখপূর্বক ইউজিসিকে প্রেরিত পত্রে বলা হয়েছে, “আপনার প্রেরিত পত্র ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এই মর্মে অবহিত করছি যে, ১৯৯২ সালের ৩৭ নম্বর আইন যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ নামে অবহিত।”
উক্ত আইনের ৩ ধারায় এই আইনের প্রাধান্য সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে “আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে।”
এবং
আইনের ৪১(১) ধারায় বর্ণিত হয়েছে “এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজসমূহে স্নাতকপূর্ব, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে ছাত্র ভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবে।”
এবং
৬(খ) ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে “বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষাদানের জন্য পাঠক্রম নির্ধারণ করা;”
এবং
৬(গ) ধারায় বর্ণিত রয়েছে “বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে জ্ঞানের বিকাশ, বিস্তার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে শিক্ষাদান ও গবেষণার ব্যবস্থা করা;”
এবং
আইনের ২৯ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনিট স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের কার্যাবলী বিবৃত হয়েছে এবং ২৯(১)(ক) ধারায় উল্লেখ রয়েছে এই কেন্দ্র “সম্মান ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা সংগঠনের দায়িত্ব পালন করিবে;”
আইনের উপরিউক্ত ধারাসমূহ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির গৃহীত সিদ্ধান্ত আইনসঙ্গত ও যথার্থ।”
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস গাজীপুরে অনার্স কোর্স খোলার বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দেয় ইউজিসি। চিঠিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে অনার্স কোর্স বন্ধের কথা বলা হয়েছে। ঐ পত্রের জবাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরএস