ছাত্রলীগের মারধরের শিকার সাংবাদিক

‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে’

চবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩, ০৫:৪৭ পিএম
‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে’

সংবাদ প্রকাশের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক সাংবাদিককে মারধর করেছে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি) কর্মীরা। মারধরের শিকার সাংবাদিক মোশাররফ শাহ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে তাকে মারধর করা হয়।

আহত অবস্থায় মোশাররফকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে বুক ও হাতে আঘাত থাকার কারণে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চবি মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তৈয়ব বলেন, সাংবাদিক মোশাররফের কপালে বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে। কপালে চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে হাতেও আঘাত আছে। এক্সরে করাতে হবে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসা জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোশাররফ শাহ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী তাকে প্রথমে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এরপর ছাত্রলীগ নিয়ে কেনো প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, তা জানতে চায়। এরপর এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।

সাংবাদিক মোশাররফ বলেন, মারধরের সময় নেতা–কর্মীরা তাকে পরবর্তীতে আর ছাত্রলীগ নিয়ে প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন। তারা বলেন, ‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরেকে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগকে নিয়ে কোনো নিউজ হবে না।’

ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসির নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রেজাউল হক। তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি খোঁজ নিচ্ছেন।

সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে চবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিককে শহরে পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা এটাই প্রথম নয়৷ প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে৷

দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন এর ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাবে চবিসাস।

এইচআর