শিক্ষা ও গবেষণায় দেশসেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৮:২৩ পিএম
শিক্ষা ও গবেষণায় দেশসেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষা ও গবেষণার মান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারি অনুপাত, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ ১৮টি পারফরম্যান্স সূচকের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের ১০৮টি দেশের ১ হাজার ৯০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)’। সম্প্রতি ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ তালিকায় দেশের মধ্যে সেরা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

এবারের তালিকায় প্রথম ১ থেকে ৮০০ এর মধ্যে দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকলেও ৮০১ থেকে ১৫০০ এর মধ্যে দেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এ তালিকা অনুসারে ৮০১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ)। তালিকার ১০০১ থেকে ১২০০ এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। এছাড়া তালিকার ১২০১ থেকে ১৫০০ সিরিয়ালের মধ্যে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।

এবারের তালিকায় সারাবিশ্বে প্রথম অবস্থানে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থানে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)। তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর যথাক্রমে শিক্ষায় ২৪.১, গবেষণার পরিবেশে ৮.৯, গবেষণার মানে ৭১.০৯, শিল্পে ১৯.৫ ও আন্তর্জাতিক আউটলুকে ৪৯.৭।

আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে জায়গা করে নেওয়ায় আনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি’র (আইআইটি) অধ্যাপক শামীম কায়সার বলেন, আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আমাদের উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে। সামনে আরও ভালো অবস্থানে যাবে বলে আশা করছি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ বলেন, বর্তমান উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন ও সেশনজট হ্রাসের জন্য যথেষ্ট সচেতন এবং কাজ করে যাচ্ছেন। পার্টটাইম বিদেশী ফ্যাকাল্টি নিয়োগের বিষয়ে আমরা একটি অধ্যাদেশ তৈরির প্রায় শেষ পর্যায়ে আছি। আশা করছি ভবিষ্যতে আমরা বিশ্বর‌্যাংকিংয়ে আরও ভালো অবস্থানে যাব।

এআরএস