উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পারস্পারিক সহযোগিতার আহ্বান

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৩, ১০:৫২ এএম
উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পারস্পারিক সহযোগিতার আহ্বান

উচ্চশিক্ষার প্রসার ও গুণগত মানোন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পারস্পারিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনেরা।

শুক্রবার (০৬ আক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেট্‌সের বস্টন ক্যাম্পাসে ইন্টারন্যাশনাল সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউটএর উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়নে সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন তারা।

ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেটসের ক্যাম্পাসে সেন্টারে বলরুমে দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রণালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্টজনেরা অংশ নেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষারপ্রসারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর অবদানের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার দিকে মনযোগি হতে হবে। এছাড়া, গবেষণা ও উদ্ভাবনী শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

সেমিনারে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে প্রতিনিধি ডক্টর আবু তাহের- সংখ্যা বিবেচনায় না নিয়ে শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশের মান বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ ইংল্যান্ড উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক কমিশন-এন ই সিএইচ ই (NECHE) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ক্যারোল অ্যান্ডারসন। আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি কিভাবে উচ্চশিক্ষার স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো যায়,  যাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্র্যান্ডিং করা এবং র‌্যাঙ্কিংয়ে একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থান অর্জন করা সম্ভব হয় এ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা।

সেমিনারটিতে সাম্প্রতিক প্রযুক্তি বিশ্ব সাড়া জাগানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই, মেটাভার্স প্রযুক্তির বিকাশ, নৈতিক অবস্থান, আইনি চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ও গবেষকেরা। নতুন এসব প্রযুক্তি পরবর্তী স্তরের উচ্চ শিক্ষায় কিভাবে ব্যবহার করা যায় তার প্রস্তুতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন অন্যতম কী-নোট আলোচক ম্যাসাচুসেট্‌স ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি- এমআইটির অধ্যাপক ড. অনন্ত আগরওয়াল।

বাংলাদেশের নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ- এআইইউবি’র সহযোগিতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট’ এর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির  নির্বাহী পরিচালক ইকবাল ইউসুফ এবং ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেটসের অধ্যাপক ডক্টর নুরুল আমান।

এছাড়া সেমিনারটিতে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আন্তজার্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যোগাযোগ, গবেষণা সহযোগিতাসহ ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপরে আলোচনায় অংশ নেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. জুনায়েদ কামাল আহমেদ, এআইইউবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন, ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেট্‌স ডার্টমাউথের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ করিম, ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. স্যান্ড্রা রহমান, এবং ইন্টারন্যাশনাল সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. আবদুল্লাহ শিবলিসহ আরও অনেকে।এতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রশাসক, গবেষক এবং স্টেক হোল্ডারদের পারস্পারিক সহযোগিতা ও  অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার প্রসারে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন আয়োজকেরা।

এআরএস