বর্ণিল আয়োজনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রতিকৃতিতে (অস্থায়ী) পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক নম্বর গেট সংলগ্ন পার্কের মোড় ঘুরে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির ২২টি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা ও বিকেল সাড়ে ৪টায় স্বাধীনতা স্মারক মাঠে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়টি রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মরণে নাম পরিবর্তন করে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ করা হয়। এটি রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল তিনটি অনুষদের অধীনে ছয়টি বিভাগে ৩০০ ছাত্রছাত্রী, ১২ জন শিক্ষক, একজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন কর্মচারী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস রংপুর নগরীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে এ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
রংপুর শহরের প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড়ের নিকটবর্তী ৭৫ একর জায়গার ওপর ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর’ এর স্থায়ী ক্যাম্পাস অবস্থিত। ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছয়টি অনুষদ, ২২টি বিভাগ, ৫টি ইনস্টিটিউট, প্রায় সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী, ১৯২ জন শিক্ষক, ১৩৪ জন কর্মকর্তা, ৪৮৯ জন কর্মচারী রয়েছে।
এআরএস