রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ক্যাম্পাসে বেড়ে উঠছে ভাতের বিকল্প ব্রেডফ্রুট অর্থাৎ রুটিফলের দুর্লভ গাছ। ভাতের বিকল্প হিসেবে এই ফল খাবার উপযোগী। দুই বছর আগে ক্যাম্পাসে এই গাছের চারা লাগানো হয়েছিল। লক লক করে বেড়ে উঠে এখন এই গাছ ফল দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
ব্রেডফ্রুট অর্থাৎ রুটিফল গাছ সম্পর্কে জানা গেছে, এর বাহারি পাতার সামনের অংশে হাতের আঙুলের মতো চমৎকার নকশা করা। ফল দেখতে ঠিক কাঁঠালের মতো। স্বাদ মিষ্টি আলু বা কলার মতো। রুটিফল পাউরুটির মতো স্লাইস করে আগুনে ঝলসে খেতে হয়। একটি রুটিফল গাছ প্রায় ৫০ থেকে ৬৫ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। ফল ধরে ডালের আগায়। এই গাছের ফলে কোনো বিচি নেই। চারা হয় গাছের মূল থেকে। অনেকে পাখি ধরার ফাঁদ হিসেবে রুটিফল গাছের আঁঠার ব্যবহার রয়েছে। পুষ্টিগুণ বিবেচনায় বাণিজ্যিকভাবে আবাদ করা যেতে পারে এই ফলের গাছ।
এই গাছের ফলে রয়েছে প্রচুর ওষুধি গুণ। রুটি ফলের পাতার ক্কাথ রক্ত উচ্চচাপ ও শ্বাসকষ্ট উপশম করে। জিহ্বার প্রদাহে পাতা বেঁটে প্রলেপ দেওয়া হয়। এর কষ চর্মরোগ ও সাইটিকা উপশমে বিশেষ উপকারী। কোনো কোনো দেশে রুটিফল দিয়ে ক্যান্ডি, চিপস, মিষ্টি আচার তৈরি হয়ে থাকে। অনেক দেশে রুটি ফল সবজি হিসেবে ব্যবহার হলেও আমাদের দেশে এই গাছটি বিরল প্রজাতির। সহজে দেখা যায় না এই গাছ। রুটিফলের গাছ বাংলাদেশে দুর্লভ। এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলে সবজির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, দুই বছর আগে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে দুটি চারা কিনে ক্যাম্পাসে লাগিয়েছিলাম। চারা দুটি বড় হচ্ছে। এখন এই দুর্লভ গাছের ফলের অপেক্ষায় রয়েছি।
তিনি বলেন, এই গাছের ফল ভাতের বিকল্প হতে পারে। এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা যেতে পারে। কারণ প্রতিবেশি দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় এই গাছ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে।
এআরএস