জবি উপাচার্যের মৃত্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর শোক

জবি প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৩, ০১:১৯ পিএম
জবি উপাচার্যের মৃত্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর শোক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি। আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১০ টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর কাকরাইলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে গিয়ে উপাচার্য মরদেহ দেখতে যান তিনি।

এ সময় তিনি উপাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশসহ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এসময় উপাচার্যের মেয়ে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড মোস্তফা কামাল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোর ৫ টায় রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে তিনি ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসা নিতে অধ্যাপক ইমদাদুল হক গত ১২ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন। সেখানে তার রেডিও থেরাপি সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে শারিরীক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তিনি গত ১২ অক্টোবর দেশে ফিরে আসেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ জুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ডীন ড. ইমদাদুল হক। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ বছরেই সততার ক্যাম্পাসে নানা উন্নয়নমূলক ও অভূতপূর্ব একাডেমিক অগ্রগতিতে কৃত্বিত অর্জন করেন।

অধ্যাপক ইমদাদুল হক একজন বাংলাদেশী উদ্ভিদবিজ্ঞানী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য। তিনি ২০২১ সালের ১ জুন চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে নিয়োগ পান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হন। অধ্যাপক ইমদাদুল হকের জন্ম পাবনা জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৭৮ সালে এমএসসি এবং ১৯৮৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি একাধিক পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেছেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি ঢাবির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও সদস্য, বাংলাদেশ উদ্ভিদবিজ্ঞান সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি একাধিক পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য। এছাড়া তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবেও ভূমিকা রেখেছেন। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জার্নালে তার ৮০টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি একাধিক বইয়ের সহ-সম্পাদক।

এআরএস