বুদ্ধিজীবীরা জাতির পথ প্রদর্শক: সৌমিত্র শেখর

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৬:৫৬ পিএম
বুদ্ধিজীবীরা জাতির পথ প্রদর্শক: সৌমিত্র শেখর

বুদ্ধিজীবীরা জাতির পথ প্রদর্শক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

তিনি বলেন, মূলত বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতি কর্মীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন এবং নয়মাসের লড়াইয়ে ভেতরে থেকে ইন্ধন দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় বুদ্ধিজীবী শ্রেণির সঙ্গে মিশতেন। তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। এই বুদ্ধিজীবী মহলের নেতা যারা তাদেরকে আমাদের স্বাধীনতার ঠিক পূর্বমুহুর্তে পাকিস্তানিরা হত্যা করেছে। পাকিস্তানিরা ভেবেছিল, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে সম্পূর্ণভাবে মেধাশূন্য করে বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে আনবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

দিবসটি উপলক্ষে বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চির উন্নত মম শির’ এ মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সকালে কালো ব্যাজ ধারণের পর বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’ ও ‘চির উন্নত মম শির’-এ ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

পরে কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, একটি দেশের রাজনৈতিক সংগ্রাম তখনই অর্থবহ হয়, ফলপ্রসু হয় যদি সেখানে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম প্রবাহিত থাকে। সাংস্কৃতিক কর্মীরা তার সঙ্গে থাকেন। পাকিস্তান আমলে বাঙালি জাতির স্বাধীকার সংগ্রামে রাজনৈতিক সংগ্রামের সাথে সাথে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম চলেছে। আর এ সাংস্কৃতিক সংগ্রাম যারা করেছে তারা হচ্ছেন আমাদের বুদ্ধিজীবী মহল। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সাথে যারা জড়িত ছিল সেসব ঘৃণিতদের খুঁজে বের করে যাদের বিচার হয়েছে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক এবং যাদের এখনো বিচার হয় নি তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। কেননা জাতির সূর্য সন্তানদের হত্যা করে এই বাংলাদেশকে বিকল করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।

সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম। বক্তব্যে সুজেয় শ্যাম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কিছু ঘটনা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে নিজের কিছু দু:খবোধের কথাও তুলে ধরেন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, আলোচনা করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রামিম আল করিম, কর্মচারী সমিতির সভাপতি (গ্রেড১১-১৬) মো. কামরুজ্জামানসহ অন্যরা। সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসানের সভাপতিত্বে  স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য-সচিব ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ।

এআরএস