কুকুর আতঙ্কে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
কুকুর আতঙ্কে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিনে প্রায় ৯ শিক্ষার্থী কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। এর আগেও অনেক শিক্ষার্থী কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন।

গত ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার ৯ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।কুকুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীসহ সকলের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি। গত দু‍‍`মাসের অধিক সময় ধরে হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুরের উপদ্রব শুরু হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় ভিসি বাংলো, জয় বাংলা ভাস্কর্য, নজরুল ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধু হল, বঙ্গমাতা হল, অগ্নি-বীণা হল এবং সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনের অংশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্রই কুকুরগুলোর অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। কুকুরের বাচ্চাগুলো একটু ছোটাছুটি করলে বা  পথচারী কাওকে একা পেলেই দলবেঁধে কামড়াতে আসে কুকুরগুলো।

আহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে গেলেও উপকার পাচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেখানে ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা নেই। ব্যথার দান নামের এই মেডিক্যাল সেন্টারের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডা. হেলাল উদ্দিন শনিবার রাতে (২৭ জানুয়ারি) জানান, ‍‍`কোনো ভ্যাক্সিনই নাই‍‍`। কোথায় পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বাইরের সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল-এর তথ্য দেন। তিনি ৫ বছর আগেও (২০১৮ সালে) এমন একটি সময়ে ভ্যাক্সিন নেই বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।

কুকুরের কামড়ে আহতশিক্ষার্থী সুশান্ত দাস জানায়, সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু হলে আসার সময় হঠাৎ করে পিছন থেকে কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছি। এদিন আমিসহ আরও ৮জন আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সকলেই আমরা বাইরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি। কুকুরের কামড় খাওয়ার পর ভয়ে এখন বাইরে বের হতেই সাহস পাচ্ছি না।

কুকুর আতঙ্ক সমাধানের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপের কথা জানতে চাইলে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি সবাইকে সাবধানে চলাচলের আহবান জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা থেকে কুকুরগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা কর্মীদের বলা হয়েছে। 

পাশাপাশি কুকুরদের আঘাত না করে কিভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। এর আগে তিনি  ত্রিশাল পৌরসভায় যোগাযোগ করে কুকুরগুলোকে ইনজেকশন দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালেও সেটি আশার আলো দেখেনি।

এইচআর