রাবিতে এক সপ্তাহে ৬৮ শিক্ষার্থী জন্ডিসে আক্রান্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বেড়েছে জন্ডিস তথা হেপাটাইটিস ভাইরাসের প্রকোপ। গত তিনদিনে রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন শিক্ষার্থী। আর গত সাতদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ শিক্ষার্থী। মূলত দূষিত পানি ও ফুটপাথের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

রাবির মেডিকেল সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা করালে হেপাটাইটিস ‘এ’ অর্থাৎ জন্ডিস ধরা পড়ে ৬০ জন শিক্ষার্থীর শরীরে।

গত (১৫ জানুয়ারি) ১১ জন পরীক্ষা করালে জন্ডিস আক্রান্ত হন সাতজন, ১৬ তারিখে ১৩ জনের মধ্যে পাঁচজন, ১৭ তারিখ আটজনের মধ্যে ছয়জন, ১৮ তারিখ ২১ জনের মধ্যে ১২ জন, ২১ তারিখ ১৬ জনের মধ্যে ১০ জন, ২২ তারিখ ১৭ জনের মধ্যে আটজন, ২৩ তারিখ ১৫ জনের মধ্যে পাঁচজন, ২৪ তারিখ ১৮ জনের মধ্যে আটজন এবং ২৫ তারিখ ২৭ জনের মধ্যে সাতজন শিক্ষার্থীই জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের উপপ্রধান চিকিৎসক মো. লোমান মঞ্জুর (অপু)।

তিনি বলেন, গত ৩ সপ্তাহ ধরে জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মূলত শীতকালে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার কারণে এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয় মানুষ। এ ছাড়াও পানিবাহিত রোগ ও ফুটপাথের খাবার থেকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয় রোগীরা। তবে সঠিক বিশ্রাম ও ফুটপাতের খাবার এড়িয়ে চললে এ রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল, অ্যাকাডেমিক ভবনসহ পুরো ক্যাম্পাসে সাবমারসিবল পাম্পের সংখ্যা খুবই কম। এদিকে টিউবওয়েল ও মোটরের পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এ রোগের সৃষ্টি হচ্ছে।

তবে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান শেখ।

বলেন, শীতকালে ঠাণ্ডার কারণে মানুষ চলাচল কম করে। ফলে রক্ত চলাচলও কম করে। হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের কারণেই জন্ডিস হচ্ছে। সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের সচেতনতা। ক্যাম্পাসে হোটেল ও ক্যান্টিন মালিকদের উচিত পিউর টিউবওয়েল বা সাবমারসিবলের পানি দিয়ে রান্নার কাজ করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য পিউর পানি সরবরাহ করা।
ইএইচ