দেশের বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়মিত কোর্সের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দক্ষতা উন্নয়ন নির্ভর স্বল্পমেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স এবং ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। এছাড়াও, তিনি যথাযথভাবে কোর্স সম্পন্নকারীদের জন্য দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহযোগিতা প্রদানের পরামর্শ দিয়েছেন।
ব্রাক ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ১০টি বৈদেশিক প্রকল্পের অনুদানের অর্থ গ্রহণ ও ব্যয় সংক্রান্ত অনুমোদন বিষয়ে ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি আজ (৩০ জানুয়ারি) এ কথা বলেন।
ইউজিসি সিনিয়র সহকারি পরিচালক মোঃ শরীফুল ইসলামের উপস্থাপনায় সভায় প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও গবেষকগণ, ব্রাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভ ডল্যান্ড এবং ইউজিসি এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেছেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে সরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি বৈদেশিক অনুদানে গবেষণাকর্ম পরিচালনা এভং ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদার করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। তিনি গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করতে দেশের ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ।
সভায় প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বর্তমানে বেশ কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বৈদেশিক অনুদানে গবেষণা পরিচালনা করছে এবং এই বৈদেশিক সহায়তায় গবেষণা পরিচালনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্যও উঠে আসছে। তিনি দেশের মানুষের উপকারে আসে এরকম বিষয়ে গবেষণা গবেষনা প্রকল্প তৈরি ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে গবেষকদের অনুরোধ করেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি গবেষণা প্রকল্পের আওতায় বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যৌথভাবে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান এবং গবেষণার ফলাফল নিয়ে লিখিত আর্টিক্যাল বহুল উদ্ধৃত প্রথম সারির আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের উদ্যোগ নিতেও গবেষকদের আহবান জানান।
তিনি দ্রুততম সময়ে গবেষণা প্রকল্প অনুমোদনে ইউজিসি থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
ব্রাক ইউনিভার্সিটি কর্তৃক পরিচালিত উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে “প্রফেশনাল ফেলোস প্রোগ্রাম”, “কানেক্টিং ক্লেইমেট মাইন্ডস”, “শৈশবকালীন দারিদ্র্য হ্রাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব যাচাই”, “কোভিড পরবর্তী সময়ে কৃষি ও এসএমই খাতেকে এগিয়ে নিতে করণীয়”, “সংক্রামক ব্যাধি বিস্তার বিষয়ে গবেষণার জন্য সমন্বিত কার্যক্রম”, “স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত সমাধানকে এগিয়ে নিতে জলবায়ু পরিবর্তন শিক্ষা দক্ষতা এবং টেকসইতা গ্রহণ” “দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু এবং জলবায়ু অভিযোজনজনিত মাইগ্রেশন: দীর্ঘমেয়াদে ফল পেতে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা” “বাংলাদশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন সক্ষমতা ত্বরান্বিত করা”ইত্যাদি।
এসব গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা গবেষণা মঞ্জুরী পাচ্ছে।
আরএস