মানারাতের সাংবাদিকতা বিভাগের ১১ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
মানারাতের সাংবাদিকতা বিভাগের ১১ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ১১তম বর্ষপূর্তি ও বিদায় অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসে বর্ণিল আয়োজনে এ বর্ষপূর্তি ও বিদায় অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।

সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান মো. মামুন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুস সবুর খান বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টিতে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া অনবদ্য অবদান রেখেছেন। যদি বায়ান্নয়ের ভাষা আন্দোলন না হতো, মুক্তিযুদ্ধ না হতো তাহলে আজ এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হতো না। সে জায়গা থেকে সাংবাদিকতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই সাংবাদিকদের সত্য বলতে হবে।

হলুদ সাংবাদিকতার প্রসঙ্গ টেনে ড. সবুর বলেন, হলুদ সাংবাদিকতা এখন আর নেই, এখন চলছে রেড(লাল) সাংবাদিকতা। টাকার বিনিময়ে নিউজ করা। মানারাত যে আদর্শ নিয়ে সাংবাদিকতা শেখাচ্ছে সেটি ধরে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বা তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি৷

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন বলেন, যুগ যুগ ধরে সাংবাদিকরা দেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছে। তাই সাংবাদিকদের গুরুত্ব অপরিসীম। সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের মানারাত বিশ্ববিদ্যালয় যে শিক্ষা দিচ্ছে, তা কাজের মাধ্যমে তুলে ধরে মানারাতের সুনাম সর্বোত্তম ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের প্রধান ড. ওবায়দুল্লাহ বলেন, নতুন একটি শব্দ ‘ডি ফেইক’। এটি সাংবাদিকতার জন্য এক ধরণের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই একজন সাংবাদিককে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সঠিক তথ্যটি তুলে ধরতে হয়। আর এ সঠিক তথ্যটি তুলে ধরবেন এ সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীরা।

স্কুল অব সাইন্স বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগের শৃঙ্খলা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সুন্দর সাবলিলতা তাদের কাছ থেকে শেখা যায়।

সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যপক রফিকুজ্জামন রোমান বলেন, সত্য আছে তার চর্চা নেই, সেটি থাকার কোন মানে হয় না। সূর্যের আলো নেই, সেট সূর্য হতে পারে না। পরিবেশ কোন ইস্যু নেই। সব ইস্যুতে নিজেকে তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সত্য বলার চেয়ে বড় কোন সাহসীকতা নেই। তাই সকল বাঁধা অতিক্রম করে সত্যটা বলতে হবে। আর একজন সাংবাদিককে সে সত্য বলাটা সব চেয়ে বড় সাহসীকতা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এআরএস