ছাত্রলীগের সংঘর্ষে হামলার শিকার ২ সাংবাদিক

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
ছাত্রলীগের সংঘর্ষে হামলার শিকার ২ সাংবাদিক

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সংবাদ সংগ্রহের সময় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা ফোকলোর বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু নাঈম আব্দুল্লাহর (যাযাবর নাঈম) অনুসারীরা।

জানা গেছে, অগ্নিবীণা হলের ১০৫ নম্বর কক্ষে আসন দখলকে কেন্দ্র করে যাযাবর নাঈম ও ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লোবনের ওপর আঘাত করে ছাত্রলীগের আরেক নেতা মাহফুজুর রাজ্জাক অনিকের অনুসারীরা।

এ সময় যাযাবর নাঈমসহ অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ বিল্লাহ এবং ইইই বিভাগের রিফাত আহত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপের অনুসারীরা।

এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহের সময় দফায় দফায় দুই সাংবাদিককে মেরে আহত করে যাযাবর নাঈমের অনুসারীরা। আহত দুই সাংবাদিক হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি ফাহাদ বিন সাঈদ ও যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি আহসান হাবিব রিয়াদ।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আহসান হাবিব রিয়াদ জানান, সংঘর্ষ চলাকালে ২০-২৫ জন হঠাৎ এসে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সবাই একসাথে এসে বুকে লাথি মারে, চোখে এলোপাথাড়ি আঘাত করে।

ভুক্তভোগী আরেক সাংবাদিক ফাহাদ বিন সাঈদ জানান, হাবীবের উপর আঘাতের পর জয়ধ্বনি মঞ্চের পেছনে দলবেঁধে আমার উপরও অতর্কিত হামলা চালায় যাযাবর নাঈমের অনুসারীরা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র ব্যথার দানে আহত সাংবাদিকদের দেখতে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি যারা নষ্ট করছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দ্রুতই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর আহত দুই সাংবাদিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ইএইচ