সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে ছিল ব্যাপক দর্শনার্থীদের ভিড়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
জানা যায়, গতকাল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন বসন্ত উৎসব এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে দুপুর থেকেই ক্যাম্পাসে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বাড়তে থাকে। বিকেল এবং রাতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
রাতে জগন্নাথ হলের খেলার মাঠ দেখা যায় দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত পুরো মাঠ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন নারী শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসে বহিরাগত লোকজনের আগমন ইস্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে পোস্ট দিয়েছেন।
মমিতুর রহমান পিয়াল নামে সাবেক এক ছাত্র ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা কোটা আন্দোলন করে সফল হওয়া শিক্ষার্থী। আপনারা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবি আদায়ের অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী শিক্ষার্থী। দেশের সংকটময় মুহূর্তে দেশ বাঁচানোর নেতৃত্ব দানকারী শিক্ষার্থী আপনারা। সেই আপনারাই কি না আজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আগমনে অতিষ্ঠ হয়ে উপায়ন্তর না পেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করছেন। সময় এসেছে সমাধান খোঁজার।’

পূজামণ্ডপ পরিদর্শন :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, কবি সুফিয়া কামাল হল এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর(প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, সংশ্লিষ্ট হল প্রাধ্যক্ষসহ হলের আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এআরএস