টেকসই উন্নয়নের সাথে টেকসই সভ্যতা বিনির্মাণের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক মূল্যবোধ, সৃজনশীলতা, আবিষ্কারমনস্কতা ও প্রগতি শীর্ষক দুইদিনব্যাপী তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের তৃতীয় তলায় সম্মেলনটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। দুইদিনব্যাপী এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ দেশের নানা জায়গা থেকে দেশবরেণ্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে যাচ্ছি। এই শিল্প বিপ্লবের জন্য একদিকে যেমন প্রথাগত বিজ্ঞান চিন্তায় পরিবর্তন এসেছে তেমনি মানবিক মূল্যবোধ, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। উন্নয়নকে টেকসই করার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সভ্যতা গড়ে তোলার দিকে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সম্মেলনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, গবেষণা শুধুই ঘরে বসে করার বিষয় নয়। এটি অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগিও দরকার। আন্তর্জাতিক সম্মেলন গবেষণার মান বৃদ্ধি ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে স্কলারদের ভিউজ এক্সচেঞ্জের জন্য দারুণ এক আয়োজন। বিজ্ঞান অনেক উন্নতি সাধন করেছে। তাই চারুকলা, সমাজবিজ্ঞান ও মানবিক শাখায় নতুন নতুন গবেষণা জরুরি। এই কনফারেন্সে এসব ক্ষেত্রে নতুন গবেষণার সূত্র উত্থাপিত হবে।
সম্মেলনে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি প্রান্তিক পর্যায়ে থাকে তবুও সেটা বিশ্ববিদ্যালয়। কেননা প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবসৃষ্ট জ্ঞান দেশ, জাতি এমনকি বিশ্বের কল্যাণে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির দিকে মনোযোগ দিতে হবে ও সেই জ্ঞানকে সারাবিশ্বের সাথে ভাগ করে নিতে হবে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার ও রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. জিল্লুর রহমান পল।
তৃতীয় আন্তর্জাতিক সমাবেশে দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও বিদেশ থেকে সর্বমোট ২৫০টি পেপার সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য জমা পড়ে। তারমধ্যে ৯৯টি পেপার গৃহীত হয়েছে। ভারত ও সোমালিয়া থেকেই ১৭ টি পেপার গৃহীত হয়েছে।
আরএস