রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, আবাসন সংকট, যাতায়াত সমস্যা, যানবাহনের বাড়তি ভাড়া আদায়সহ বিভিন্ন ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন তারা। তারা বলছেন, ঢাবি ও চবির মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে নেওয়া হলে তাদের সময়, অর্থসহ দুর্ভোগ অনেকাংশে কমবে।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললে এ তারা এসব অভিযোগ করেন।
পটুয়াখালী থেকে রাজশাহীতে ছেলেকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে আসেন শাহজাহান মিয়া। আমার সংবাদকে বলেন, ছেলেকে অনেক দূর থেকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছি। ভালো হোটেল না পাওয়ায় ছেলেসহ আবাসিক হলে থেকেছি। যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ঢাবির মতো বিভাগীয় পর্যায়ে হলে আমরা এসব ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাব। এমনকি যদি সব বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিলে বেশি সুবিধা হতো।
লালমনিরহাট থেকে ফয়সাল জুলফিকার ও তার স্ত্রী খালেদা তাদের মেয়েকে নিয়ে গতকাল রাজশাহীতে এসেছেন। এখানে তাদের কোনো আত্মীয় না থাকায় আবাসন সংকটে ভুগতে হয়েছে। তারা আমার সংবাদকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে থাকার মত কোনো জায়গা না পেয়ে আমরা বানেশ্বরে একটি আবাসিক হোটেলে ৭০০ করে ভাড়া দিয়ে থাকতে হয়েছে। সেখানে থাকার মত তেমন ভালো অবস্থা ছিল না। সে অনুযায়ী ভাড়া অনেক বেশি নেয়া হয়েছে।
যানবাহনের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, ট্রেনের টিকিট প্রথমে না পাওয়ায় আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পরে বাসে রাজশাহীতে আসি। এছাড়াও ক্যাম্পাসের বাইরের হোটেলগুলোতে তুলনামূলক খাবারের দাম একটু বেশি নিচ্ছে।
পরীক্ষার ভোগান্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তাদের মেয়ে জয়িতা ফয়সাল বলেন, এরকম পরিস্থিতিতে পরীক্ষার কক্ষে এক ধরনের অস্থিরতা কাজ করে। এমনকি পরীক্ষার জন্য মানসিক প্রস্তুতি কমে যায়। এ কারণে আশানুরূপ পরীক্ষা ভালো হয় না। রাবির ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় পর্যায়ে নিলে আমাদের এরকম ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
ইএইচ