বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁও হতে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঠাকুরগাঁও জেলা কল্যাণ সমিতি কর্তৃক নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ( ৯ মার্চ) বিকাল ৫ টায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার ২য় তলায় এই আয়োজন করেন সংগঠনটির সদস্যরা। এসময় ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণের পাশাপাশি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ঠাকুরগাঁও কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবাইয়া কাওসারের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক।
সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি রবিউল ইসলাম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ রংপুরের সহযোগী অধ্যাপক মো: আব্দুর রাজ্জাক, তারাগঞ্জ রংপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুবেল রানা, ন্যাশনাল ব্যাংকের সহকারী সিনিয়র সভাপতি ও ম্যানেজার মোহাম্মদ সারোয়ার মোরশেদ, গণ সংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার আবুল কালাম, সিনিয়র পার্টনারশিপ সুইসের রুকুনুল ইসলাম ডলার, রংপুর ই.এস.ডি.ও সমন্বয়ক মাহবুব আলম, বিএডিসি কার্যসহকারী মো: শহীদুল্লাহ, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ, বেরোবি আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার আল ইমরান।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেরোবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া ইয়াসমিনসহ সংগঠনের নবীন প্রবীণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গোলাম রব্বানী বলেন, তোমরা যারা নবীনরা আছো তারা চলতে-ফিরতে শুরুতে হয়তো নানা সমস্যা ফেস করতে পারো, সবার সহযোগিতার জন্যই এই জেলা ছাত্রকল্যাণ সংগঠনটি। তোমরা সিনিয়র সবাইকে সম্মান প্রদর্শন করবে। তাদের থেকে শেখার যা আছে তা শিখবে। প্রবীণদের উদ্দেশ্যে বলবো তোমরা কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করো এবং সর্বদা জেলা ছাত্রকল্যাণের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখবে।
সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের জীবনটা আসলেই সংগ্রাম। আমাদের যুদ্ধটা নিজের মধ্যে- আমি কোনটা বেছে নিবো? আমরা কেন যেন নোটবুক গাইডবুকের গণ্ডিতে আছি। আমরা এই জায়গায় আসছি অনেক নোংরা পরিবেশ থেকে পড়াশোনা করে আসা হয়েছে কিন্তু তোমরা আজকে সুন্দর পরিবেশ পেয়েছো। আর প্রবীণদেরমনে একটা আফসোস থাকছে কী করলাম চার-পাচঁটা বছর? এই আফসোস যেন নবীনদের না থাকে সেই পথে হাঁটো। কয়েকটা ইতিবাচক ও নেতিবাচক শত্রুর সাথে ফাইট করা লাগবে। যেমন দ্বৈত আচরণ পরিহার করা, তাহলে মানুষ বুঝে নিবে তোমার একটা স্বতন্ত্র পরিচয় আছে।
এইচআর