সাদি মহম্মদের স্মৃতির প্রতি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
সাদি মহম্মদের স্মৃতির প্রতি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি

সদ্য প্রয়াত উপমহাদেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সাদি মহম্মদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল মোহাম্মদপুরে সাদি মহম্মদের বাসায় তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই সময় প্রতিনিধি দলটি শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতি তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বাক্ষরিত শোকবার্তা সাদি মহম্মদের ভাই একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী শিবলি মহম্মদ এবং মেজর (অব.) শোয়েব মহম্মদ তারিকুল্লাহর হাতে তুলে দেন রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, আর্কিটেকচার বিভাগের চেয়ারপারসন প্রফেসর জায়নাব ফারুকী আলী, টিচিং অ্যাসিসেন্ট উপমা দাস নিতু এবং অফিস অফ কমিউনিকেশন্সের ডিরেক্টর খায়রুল বাশার ও ডেপুটি ম্যানেজার ইফতেখার ওমর। সাদি মহম্মদ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে গেস্ট প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাদি মহম্মদের পরিবারের সাথে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি দলের কিছুটা সময় কাটানো স্থাপত্য, সঙ্গীত এবং সংস্কৃতির প্রতি তার বিশাল অবদানকে স্মরণের একটি প্রয়াস। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রয়াত এই সঙ্গীত শিল্পীর স্মৃতিকে সম্মান জানানো, তার মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখা এবং তার রেখে যাওয়া কাজ যেন অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে থাকে সেটি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাংলাদেশের শিক্ষা, সঙ্গীত এবং সংস্কৃতিঅঙ্গনে সাদি মহম্মদের রয়েছে সুদূরপ্রসারী অবদান। তিনি দীর্ঘদিন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ আর্কিটেকচারে গেস্ট প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার উদ্ভাবনী, মিথস্ক্রিয় এবং আনন্দঘন শিক্ষাদান পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মুগ্ধ করেছে। যারা তার কাছ থেকে শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়েছেন তারা তাকে মনে রাখবেন ভবিষ্যৎ স্থপতিদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার দৃঢ় অঙ্গীকার এবং অনন্য শিক্ষাদান পদ্ধতির কারণে।

স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সাদি মহম্মদ শৈল্পিক অভিব্যক্তি এবং সমাজে সৃজনশীলতা সৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিল্পী ও সঙ্গীত পিয়াসীদের অনুপ্রাণিত করবে।

ইএইচ