রাবিতে ক্যান্টিন মালিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম
রাবিতে ক্যান্টিন মালিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ক্যান্টিন মালিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন ক্যান্টিনেরই এক নারী কর্মচারী।

শুক্রবার দুপুরে হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসাইনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন ওই নারী। অভিযোগের ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ ক্যান্টিন সিলগালা করার নির্দেশ দেন প্রাধ্যক্ষ।

অভিযুক্ত ক্যান্টিন মালিকের নাম হাফিজুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা মেহেরচন্ডীর বাসিন্দা।

শ্লীলতাহানির স্বীকার ওই নারী বলেন, ওই লোকের সাথে আমার তিন বছরের সম্পর্ক। আমায় বিভিন্ন কথা বলে, আশ্বাস দিয়ে ব্যবহার করতো। আজকে দুপুরবেলা আমি কাজ করছিলাম ক্যান্টিনে ওই লোক ছাড়া আর কেউ ছিল না। তখন সে আবার আমার শ্লীলতাহানি করে।

এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিবেন কী-না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার পাড়ায় মান সম্মান আছে। একটা বড় ছেলে আছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমি অভিযোগ করতে চাচ্ছি না।

অভিযুক্ত ক্যান্টিন মালিক হাফিজুর রহমান ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ওর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। ওই মহিলা ক্যান্টিন থেকে চাল চুরি করে পেছনের দরজা দিয়ে পালাচ্ছিল। আমি দেখতে পেয়ে ওকে আটকাই এবং দু-তিনটে চর মারি। তখন সে নিজেই কাপড় ছিঁড়ে বলে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিবে। তারপর হল গেইটে এসে চেঁচামেচি শুরু করে।

আরিফুল ইসলাম নামের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যান্টিন সিলগালায় ভোগান্তি কিছুটা হবে অবশ্যই। এরপর ক্যান্টিনের দায়িত্ব যাকেই দেওয়া হোক না কেন, একটা ক্যান্টিনের বৈশিষ্ট্য যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। তবে আজ এই ঘটনায় ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় আমরা কিছুটা ভোগান্তির মুখোমুখি হলেও বৃহৎ স্বার্থে এটা হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, দুই পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্যান্টিন সিলগালা করা হয়েছে। শীঘ্রই একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ক্যান্টিন খোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা একটু ভোগান্তিতে পড়বে। সে বিষয়টা চিন্তা করে ডাইনিং মালিকের সাথে কথা বলে সকালের নাস্তাটা ডাইনিং থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।

ইএইচ