বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ভেটেরিনারি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী র্যালি, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পোস্টার উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। এছাড়াও এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, ভেটেরিনারি হচ্ছে একটি সর্বজনীন পেশা। দেশে গত বছর ১ কোটি ৭০ লাখের অধিক পশু কুরবানি করা হয়েছে। যার বেশিরভাগ গ্রামের পারিবারিক ছোট্ট খামারগুলো থেকে ২-৩টা করে এসেছে। তাদের পক্ষে খামারের জৈব নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় ভেটেরিনারী সেবা ক্রয় সম্ভব নয়। এই কারণে ভেটেরিনারিয়ানরা অপরিহার্য স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে মোবাইল ভেটেরিনারি সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে কমভাইন্ড কোর্স সিস্টেম চালু ছাড়া একজনের পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব নয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ভেটেরিনারিয়ানরা প্রাণির স্বাস্থ্যের পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন নিত্যনতুন রোগের আবির্ভাব হচ্ছে এ সকল রোগের উন্নত গবেষণা এবং নতুন কৌশল আবিষ্কারের উপর কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিবছর ৪০ লাখের অধিক ভ্যাক্সসিন আমদানি করে থাকে। তাই আমাদেরকে ভ্যাকসিন উৎপাদনে জোর দিতে হবে। এজন্য দেশে ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য স্বতন্ত্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট চালু করা দরকার। এছাড়াও কমিউনিটি ভেটেরিনারি শিক্ষা চালু ও বাংলাদেশ কলেজ অফ ভেটেরিরিনারি সার্জন প্রতিষ্ঠার কথাও বলেন তিনি।
ইএইচ