চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ইতিহাস বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় কলা ও মানব বিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক কর্তৃক একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার অভিযোগকারী ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগ পত্রটি ১৩ তারিখে জমা দিলেও আজ বিষয়টি সামনে আসছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, অ্যাকাডেমিক কমিটির সভার দ্বিতীয় আলোচ্য সূচিতে ২০২৩ সালের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা কমিটিসমূহ গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক নিজ থেকে এম. এ. শ্রেণির পরীক্ষা কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির ব্যাপারে আমি কোন বক্তব্য না দিলেও তিনি বিনা কারণে আমাকে এবং আমার পরিবার আমার স্ত্রী ফারহানা আজিজকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেন। আমি আগে থেকে অ্যাকাডেমিক কমিটির মাধ্যমে এম. এ. ক্লাসে ৫০৪নং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস কোর্সটি পাঠদান করে আসছি।
২০২২-২৩ সেশনে আমাদের দুই জন শিক্ষক ছুটিতে গেলে তাদের ২টি কোর্সের মধ্যে ৫০২নং কোর্সটি আমাকে সাময়িকভাবে আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাঠদানের অনুরোধ জানালে বিভাগের স্বার্থে আমি রাজি হই। অপর কোর্সটি অনেকটা জোরপূর্বক ফারহানা আজিজকে দেওয়া হয়।
ড. মাহবুবুল হক হঠাৎ করে এম.এ. শ্রেণিতে আমাদের কোর্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং কোর্স পাঠদানের কারণে আমাদের উক্ত শ্রেণিতে পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কাজের বৈধতা নিয়ে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। তিনি প্রায় সময় বিনা কারণে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন এবং সুযোগ পেলেই আমাদেরকে অপমানিত করেন। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ধৈর্যধারণ করেছি, কিন্তু তার অন্যায় আচরণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ অ্যাকাডেমিক কমিটিতে সবার সামনে তিনি আমাদেরকে অপমান করেছেন। আমি তার এরকম অশালীন আচরণের প্রতিকার দাবি করছি।
এ সম্পর্কে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ বলেন, আমার কাছে এই বিষয়ে অভিযোগপত্র এসেছে। আমি অভিযোগপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের নিকট পাঠাবো তিনি বিষয়টি দেখবেন।
অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের অভিযোগটি শুদ্ধ না। মাস্টার্সে ছয়টি কোর্সের মধ্যে তিনটি কোর্স তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনে পড়ায়। আর পরীক্ষা কমিটিতে যদি তাদের দুইজনকেই রাখা হয় সেখানে শিক্ষার্থীরা ফলাফল নিয়ে ভয়ে থাকবে। যার কারণে আমি বললাম তাদের দুইজনকে একসাথে পরীক্ষা কমিটিতে রাখা যাবে না। এই বলে আমার কাজ থাকায় আমি চলে আসছি। আমার কথার মধ্যে স্বামী-স্ত্রী এই শব্দটিকে হয়তো তারা অপমান হিসেবে নিয়েছে। আমার জানা মতে এর থেকে আর বেশি কিছু বলিনি।
ইএইচ