সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
সকাল ১১টায় ক্যাম্পাসে অবস্থান এবং বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। এতে অচল হয়ে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক।
বৃহস্পতিবার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
পরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট শিক্ষার্থীদের দাবি তুলে ধরবেন বলে আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়ে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধের বিষয়ে, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রায়হান বলেন, কোটা ব্যবস্থা বাতিল না হলে আমরা আন্দোলন করে যাবো। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিলো তারা আজ সংসদে বসে আছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ তারা ধ্বংস করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে সকল কোটা ব্যবস্থা উঠিয়ে দেন। তবে তবে আজ কেন এই কোটা। সকল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা উঠিয়ে দিতে হবে।
নৃবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে সংগ্রাম ছাড়া অধিকার পাওয়া যায় নি। তাই আজ আমাদের মহাসড়ক অবরোধ। মেধা দিয়ে যদি চাকরি না পায় তাহলে একটি স্বাধীন দেশে মৌলিক অধিকার কোথায়?পাকিস্তান আমলে বৈষম্যের করণে আমরা রাজপথে নেমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। আজও আমরা সেই বৈষম্যের শিকার।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, আপনারা চার দফা দাবি লিখিত আকারে আমাদের দিন। আমি বিকালে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আপনাদের দাবি সমূহ পৌছে দিবো।
ইএইচ