কোটা বিরোধী আন্দোলন

চলছে বাংলা ব্লকেড, তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

কুবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
চলছে বাংলা ব্লকেড, তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এসময় মহাসড়কে শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলনের পাশাপাশি ক্রিকেট-ফুটবলেও মেতে উঠতে দেখা যায়।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু হয়। যা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে রাত আটটায়। এসময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীদের বর্তমানে একটাই দাবি, সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যুনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।

এসময় শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘মেধা যার, মেধা যার; চাকরি তার চাকরি তার’,  ‘মুক্তি যুদ্ধের মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘স্বাধীনতার মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘রেলের ৪০% কোটা মুক্ত করে রেল সম্পদ রক্ষা করো’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’ ইত্যাদি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটার কারণে আমাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটার প্রভাব অনেক বেশি। আমরা কোটা বাতিল না, সংস্কার চাই। দ্রুত কোটা সংস্কার না করলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

এসময় তারা আরো বলেন, কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের মাধ্যমে সংবিধানে যে সমতার কথা বলা হয়েছে তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কোন রাষ্ট্র এতোটা বৈষম্যের মাধ্যমে চলতে পারেনা। এই বৈষম্যের ফলে এই দেশে থাকতে চাইবেনা আর। ফলে এই জাতি একদিন মেধাশূন্য জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

সদর দক্ষিণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এমরানুল হক মারুফ বলেন, আমরা সকল ধরনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি যাতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়। আমরা উপরের মহলের সাথে কথা বলতেছি সেখান থেকে যে ধরনের নির্দেশ আসবে আমরা সেভাবে কাজ করবো।

সদর দক্ষিণের ইউএনও রুবাইয়া খানম বলেন, আমরা কিছুক্ষণ পর তাদের শান্ত করার চেষ্টা করবো। অন্তত রাস্তার একসাইড যেন ছেড়ে দেয়। তারপর তারা না মানলে এজিএম স্যার আসবেন৷ তারপরও না মানলে ডিসি স্যার আসবেন।

আরএস