পিএসসির প্রশ্নফাঁস: পিএসসির ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
পিএসসির প্রশ্নফাঁস: পিএসসির ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) পিএসসির জারি করা পৃথক পাঁচটি প্রজ্ঞাপনে তাদের বরখাস্ত করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা এসব প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।

সাময়িক বরখাস্তরা হলেন—পিএসসির উপ-পরিচালক আবু জাফর, উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম।

প্রজ্ঞাপনগুলোতে আলাদাভাবে প্রত্যেকের নাম-পদবি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী’ পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র প্রকাশ ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত থাকা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী কর্তৃক অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করার অভিযোগে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেফতার হয়েছেন। তারা বর্তমানে জেলহাজতে।

এতে আরও বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩’-এর ১১ ও ১৫ ধারা অনুযায়ী—পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। তারা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এজন্য গ্রেফতার পাঁচজনকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ধারা ৩৯(২) অনুসারে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

সাময়িক বরখাস্তকালীন তারা কমিশন সচিবালয়ের প্রশাসন অধিশাখায় নিয়োজিত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

গত রোববার (৭ জুলাই) রাতে বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর থেকে পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হতে থাকে।

এ ঘটনায় সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ১৭ জনকে।

গ্রেফতাররা হলেন- পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।

আরএস