কোটা প্রত্যাহারে বাকৃবিতে আন্দোলন

ট্রেন আটকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনে অবরোধ!

বাকৃবি প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
ট্রেন আটকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনে অবরোধ!

সরকারি চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারির প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যমূলক সর্বপ্রকার কোটা প্রত্যাহারের এক দফা দাবিতে আজ বুধবার (১০ জুলাই) ৪র্থ দিনের মতো চলমান ট্রেন থামিয়ে আন্দোলন করছেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা।

কোটা সংশ্লিষ্ট আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল ১০ টায় বাকৃবির মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। বেলা ১১ টায় ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেয় তারা। ট্রেন অবরোধ করে আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেললাইনে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেন আটকে রেখে রেললাইন অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইরান মিয়া জানান, সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রেখে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। এই দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কার্যক্রম চলবে। রায় স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের ধোঁকা দেওয়া চলবে না। ছাত্রসমাজ কোনো ধোঁয়াশার মধ্যে থাকবে না। সুস্পষ্ট রায় চায় শিক্ষার্থীরা।

প্রতিদিন ট্রেন অবরোধ করা হবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেন অবরোধ করে রাখা হবে। তবে প্রতিদিন ট্রেন অবরোধ চলবে কি না এটি এখনই বলা সম্ভব নয়। এটি সকলের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে সকলে মিলে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য ছাড়া আর কোনো কোটা রাখার প্রয়োজনীয়তা নাই। সকল সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই দেশ চালনার কান্ডারিদেরকে মেধার যাচাইয়ের মাধ্যমে বাছাই করা হোক।

দিনব্যাপী ট্রেন অবরোধ করে রাখায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে যাত্রীদের কথা ভেবে জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কাজের প্রেক্ষিতে যাত্রীদের ময়মনসিংহ শহরে পৌঁছে দেওয়ার কাজেও সহযোগিতা করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিআরইউ